বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যাংকিং সেবা প্রধানকারী বহু ব্যাংক রয়েছে। এদের মাধ্যে একটি হলো বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। কৃষি ব্যাংক মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষে বিভিন্ন খাতে কৃষি ব্যাংক লোন প্রদান করে থাকে। কৃষি খাতের জন্য নিবেদিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে,বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে।
আজকের পোস্টে আমরা জানবো কারা কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন, লোন নিতে আপনার কি কি প্রয়োজন? কৃষি ব্যাংক লোন অ্যাপস ও কৃষি লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো আজকের পোস্টে।আপনি কৃষি লোন নিতে আগ্রহী হলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
কৃষি ব্যাংক লোন কি
- কৃষি ব্যাংক লোন কি
- কৃষি ব্যাংক লোনের খাত কি কি
- কৃষি ব্যাংকে লোন আবেদন করতে কি কি ডকুমেন্টস লাগবে
- কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম
- কৃষি ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম বা পদ্ধতি
- কৃষি ব্যাংক লোন অ্যাপস
- কৃষি ব্যাংকে লোনের আবেদনের যোগ্যতা কি কি?
- কৃষি ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট
- কৃষি ব্যাংকের সুযোগ- সুবিধা
- শেষ কথা
প্রথমে আমরা চলুন জেনে নেই কৃষি ব্যাংক লোন কি? বাংলাদেশের কৃষি ব্যাংক একটি সম্পূর্ণ সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংক। কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি মেরুদণ্ড, দেশের শ্রমশক্তির ৪০% এরও বেশি লোক নিযুক্ত আছে এই কৃষি কাজের সাথে ।
কৃষি লোন হলো উন্নত প্রযুক্তি, কৃষি কাজ সম্প্রসারন এবং কৃষি কাজ এর উন্নয়ন এর জন্য অর্থ প্রধান এর একটি উপায়। যাতে করে কৃষকরা কৃষি কাজ করতে গিয়ে অর্থনৈতিক অভাব করতে না হয় এবং কৃষি কাজ উন্নত হয়।
কৃষি ব্যাংক লোনের খাত কি কি
বর্তমানে বাংলাদেশের কৃষকরা কৃষি ব্যাংক থেকে ৫ টি প্রদান খাতে লোন গ্রহন করতে পারবেন।
- স্বল্পমেয়াদি ঋণ
- দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ
- মধ্যমেয়াদী ঋণ
- অন্যান্য ঋণ
- বৈদেশিক বাণিজ্য সম্পকিত ঋণ
১. স্বল্পমেয়াদী ঋন
রোপা আমন, বোরো, গম ,আলু , আখ ,সরিষা/বাদাম , ডাল/শীত কালীন শাকসবজি,আউশ/বোনা আমন ,পাট , ভুট্টা, তিল/গ্রীষ্মকালীন শাক সবজী, তুলা ,আদা/কচু , মৎস্যচাষ , চিংড়ি চাষ ,একুয়াকালচার , রেণু উৎপাদন ,লবণ চাষ ,কলাচাষ ও বিবিধ , শস্যগুদাম ও বাজারজাতকরণ, চা উৎপাদন ঋণ, নগদ মুলধন ঋণ/চলতি মুলধন ঋণ।
রপ্তানী ঋণ , মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ,আলু সংরক্ষণ , কৃষি পণ্যের বিপণন , সার ও কীটনাশক ঔষধের ডিলার , কৃষি পণ্যের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ,অন্যান্য (এসএমই খাত সহ)
২. মধ্যমেয়াদী ঋণ
হালের বলদ/গ্রামীন যানবাহন, ফল ও অন্যান্য অর্থকরী ফসলের বাগান/পানবরজ/মিশ্র খামার ,রেশম চাষ ,স্বনির্ভর ঋণ কর্মসূচী/শিক্ষিত বেকার যুবক উন্নয়ন কর্মসূচী ,সেচ যন্ত্রপাতি ,পুকুরে মৎস্য চাষ ,চিংড়ি চাষ (প্রকল্প আকারে) ,সামুদ্রিক মৎস্য চাষ ,আর্থ-সামাজিক কার্যাবল-আইফাদ আর, এফ, পি/স্বনির্ভর ঋণ কর্মসূচী ,কৃষি যন্ত্রপাতি/খামার যন্ত্রপাতি ,কুটির শিল্প/তাঁত শিল্প/পল্লী বিদ্যুতায়ন।
৩. দীর্ঘমেয়াদী ঋণ
কৃষি ভিত্তক শিল্প, দুগ্ধ খামার , গবাদী পশুর খামার , হাঁস-মুরগী পালন/খামার , মৎস্য খামার , ফলের বাগান , ছোট আকারের কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদন, চা বাগান উন্নয়ন, রাবার চাষ, প্রকল্প ঋণ।
৪. অন্যান্য ঋণ
আমানতের বিপরীতে ঋণ, কনজ্যুমার ঋণ, গ্রীণ ব্যাংকিং, এসএমই ঋণ।
৫.বৈদেশিক বাণিজ্য সম্পর্কিত ঋণ
এলটিআর ,পি এ ডি(বিল অব এক্সচেঞ্জ),আইবিপি,প্যাকিং/ক্রেডিট।
কৃষি ব্যাংকে লোন আবেদন করতে কি কি ডকুমেন্টস লাগবে
কৃষি ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদন করতে নিচের উল্লেখ করা ডকুমেন্টস গুলো লাগবে আপনার।
শস্য ঋণের প্রয়েজনীয় কাগজপত্র:
১. আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
২. আবেদনকারীর দুই কপি (সত্যায়িত) পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৩. নাগরিকত্ব সনদপত্র।
৪. শস্য ঋণ এবং ব্যক্তিগত নিশ্চয়তার বিপরীতে ঋণের জন্য কোন আইনানুগ দলিলপত্র কিংবা কোন প্রকার স্বত্ব দলিলপত্রের প্রয়োজন হয় না, তবে মঞ্জুরী কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে উক্ত দলিল পত্রাদি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
মেয়াদী ঋণের প্রয়েজনীয় কাগজপত্র:
মেয়াদী ঋণ/ বন্ধকী ঋণ :
১. আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
২. আবেদনকারীর দুই কপি রঙিন (সত্যায়িত) পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৩. নাগরিকত্ব সনদপত্র।
৪. খতিয়ানের কপি সমূহ।
৫. খাজনার দাখিলাসহ মূল কবলা দলিল।
৬. নিলামের মাধ্যমে অর্জিত সম্পত্তির বেলায় খাজনার দাখিলাসহ বিক্রয় এবং দখল প্রদানের সার্টিফিকেট।
৭. উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির ক্ষেত্রে মূল খতিয়ানের কপিসমূহ।
৮. ক্রয়কৃত সম্পত্তির জন্য মূল দলিল, ভায়া দলিল, খারিজ খতিয়ান, হালসনের খাজনার দাখিলা, মৌজা ম্যাপের ফটোকপি।
৯. ইজারার মাধ্যমে অর্জিত সম্পত্তির বেলায় খাজনার দাখিলাসহ দাতার মুল দলিল এবং দানপত্র দলিল (হেবা)।
১০. জামানতি সম্পত্তি অপ্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি হইলে প্রস্তাবিত জামানতি সম্পত্তি ব্যাংকের বরাবরে বন্ধক দেওয়ার জন্য জেলা জজের অনুমতিপত্র ।
উপরের উল্লেখিত ডকুমেন্টস গুলো আপনার কৃষি লোন এর জন্য প্রয়োজন হবে। লোন নেওয়ার আগে উপরে দেওয়া ডকুমেন্টস গুলো আপনার সাথে রাখবেন।
কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম
কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হলে প্রথমে আপনাকে আপনার স্থানীয় কৃষি ব্যাংকে যোগাযোগ করতে হবে। আর আপনি যদি কৃষি ব্যাংকের সদস্য না হন, তবে আপনাকে প্রথমে কৃষি ব্যাংক এর সদস্য হতে হবে। কৃষি ব্যাংকের সদস্য হওয়ার জন্য আপনাকে কৃষি ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে হবে। কৃষি ব্যাংক এ সদস্য হওয়ার জন্য বা একাউন্ট খুলার জন্য আপনি আপনার স্থানীয় কৃষি ব্যাংকে যোগাযোগ করে তাদের প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পূর্ন করে সদস্য হতে পারেন। কৃষি ব্যাংকে সদস্য হওয়ার পর আপনি আপনার পছন্দের লোনের আবেদন ফর্মটি সংগ্রহ করুন। এবং আপনি এটি সটিক ভাবে পূরন করুন।
আপনি কৃষি কার্ড এর জন্য আবেদন করতে পারেন, যা আপনাকে কৃষি লোনের জন্য যথেষ্ট। এই কার্ডে আপনার কৃষি সংক্রান্ত তথ্য থাকবে, যা লোন অ্যাপ্লিকেশনের সময় সাবমিট করতে হবে।আপনার অ্যাপ্লিকেশন এবং সমস্ত ডকুমেন্টস যদি সঠিক এবং পূর্ণ হয়, তবে কৃষি ব্যাংক আপনার লোন অনুমোদন দিবে।
কৃষি ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম বা পদ্ধতি
কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে প্রথমে আপনাকে আপনার স্থানীয় কৃষি ব্যাংকে যোগাযোগ করতে হবে। আর আপনি যদি কৃষি ব্যাংকের সদস্য না হন, তবে আপনাকে প্রথমে কৃষি ব্যাংক এর সদস্য হতে হবে। কৃষি ব্যাংকের সদস্য হওয়ার জন্য আপনাকে কৃষি ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে হবে।
কৃষি ব্যাংক এ সদস্য হওয়ার জন্য বা একাউন্ট খুলার জন্য আপনি আপনার স্থানীয় কৃষি ব্যাংকে যোগাযোগ করে তাদের প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পূর্ন করে সদস্য হতে পারেন। কৃষি ব্যাংকে সদস্য হওয়ার পর আপনি আপনার পছন্দের লোনের আবেদন ফর্মটি সংগ্রহ করুন। এবং আপনি এটি সটিক ভাবে পূরন করুন।
আপনি কৃষি কার্ড এর জন্য আবেদন করতে পারেন, যা আপনাকে কৃষি লোনের জন্য যথেষ্ট। এই কার্ডে আপনার কৃষি সংক্রান্ত তথ্য থাকবে, যা লোন অ্যাপ্লিকেশনের সময় সাবমিট করতে হবে।আপনার অ্যাপ্লিকেশন এবং সমস্ত ডকুমেন্টস যদি সঠিক এবং পূর্ণ হয়, তবে কৃষি ব্যাংক আপনার লোন অনুমোদন দিবে।
কৃষি ব্যাংক লোন অ্যাপস
কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার সুবিধার্থে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক অফিসিয়াল ওয়েব চালু করেছে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক লোন অ্যাপসের নাম হলো BKB-Janala, এটি সরাসরি আপনি গুগল প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক লোন অ্যাপস ডাউনলোড করার জন্য এই BKB-Janala এখানে ক্লিক করুন।
তারপর এই অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিবেন। এবং পরবর্তীতে অ্যাপ্লিকেশনটি ওপেন করে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সকল সেবা উপভোগ করতে পারবেন। এবং অ্যাপসের মাধ্যমে খুব সহজেই বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। কিছু ছবি দিয়ে দেওয়া হলো আপনাদের বুঝার সুবিধার্থে। অ্যাপটি ওপেন করার করার পর নিচের দেওয়া ছবি গুলোর মতো পেজ ওপেন হবে।
এবার আপনি একে একে সবগুলো ধাপ পূরন করবেন।ঋণ এর ধরন নির্বাচন করে ঋণ এর ফরম পূরণ করুন। আপনি কি ধরনের ঋণ নিবেন সেটা নির্বাচন করুন।আপনার সাধারণ তথ্য আবেদন এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সাবমিট করুন।
কৃষি ব্যাংকে লোনের আবেদনের যোগ্যতা কি কি?
কৃষি ব্যাংক থেকে লোন বা ঋণ গ্রহনের ক্ষেত্রে আপনার যা যা যোগ্যতা প্রয়োজন হবে তা নিচে দেওয়া হলো। আশা করি নিচের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারবেন ঋণ গ্রহনের ক্ষেত্রে আপনার কি কি প্রয়োজন।
- আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- আবেদনকারীকে প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি হতে হবে।
- আবেদনকারী কৃষি কাজে সরাসরি নিয়োজিত প্রকৃত কৃষকগণ কৃষি ঋণ পাওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
- কোন দেউলিয়া ব্যক্তি ব্যাংক ঋণের জন্য বিবেচিত হবেন না।
- আবেদনকারী খেলাপি ঋণ গ্রহীতাগণ নতুন ঋণ পাবার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।
- আবেদনকারীকে অবশ্যই ঋণ ব্যবহারের যোগ্যতাসহ ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা থাকতে হবে।
- কোন উন্মাদ বা জড় বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তি ব্যাংক ঋণের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।
- এসএমই ঋণ: ক্ষুদ্র ও মাঝারী এন্টারপ্রাইজ খাতে সরাসরি নিয়োজিত প্রকৃত উদ্যোক্তাগণ এসএমই ঋণ প্রাপ্তির যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
কৃষি ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট হল শতকরা ৮%। পূর্বে অন্যান্য ব্যাংকের ন্যায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ইন্টারেস্ট রেট ছিল ৯%, কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তীতে তা পরিবর্তন করে ১% ইন্টারেস্ট রেট কমানো হয়। আপনি কোন ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণের পূর্বে উক্ত ব্যাংকের ইন্টারেস্ট রেট সম্পর্কে জেনে নেওয়া আপনার জন্য উত্তম।
তাই আপনারা লোন গ্রহনের পূর্বে কৃষি ব্যাংক শাখা থেকে লোন ইন্টারেস্ট রেট সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবেন।বর্তমানে ক্রেডিট কার্ড ব্যতীত অন্যান্য সকল ঋণের ইন্টারেস্ট রেট ৯% রাখা হয়। কৃষকরা বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে কৃষি লোন গ্রহণ করলে ১% কমে ৮% সুদের হারে ঋণ গ্রহণ করতে পারবে।
কৃষি ব্যাংকের সুযোগ- সুবিধা
কৃষি ব্যাংক থেকে আপনি কেন ঋণ নিবেন বা কৃষি ব্যাংক আপনাকে কি কি সুযোগ সুবিধা দিবে চলুন এখন তা জেনে নেই।
কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন কৃষকরা। কারন কৃষি ব্যাংক গরিব ও দরিদ্র কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করার লক্ষে ক্ষুদ্র ও বড় লোন দিয়ে থাকে।তাছাড়া ও কৃষি ব্যাংক থেকে দরিদ্র কৃষকরা না না ধরনের সুযোগ সুবিধা পায়ে থাকেন।
কৃষি ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা গুলো নিচে দেওয়া হলঃ
- ডিপিএস সেবা।
- আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য লোন সু-ব্যবস্থা ।
- কৃষি ব্যাংক থেকে শস্য ঋণ নেয়ার সুযোগ।
- বিভিন্ন খাতে কৃষকদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ গ্রহনের সুযোগ।
- মাছ চাষের জন্য লোন নেয়ার সুযোগ।
- কৃষি ব্যাংক থেকে প্রাণিসম্পদ খাতে লোন।
আরও পড়ুন: সোনালী ব্যাংক সঞ্চয়পত্র এর মুনাফা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র | Sonali Bank Savings
শেষ কথা
আশা করি আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ে কৃষি ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংক লোন বা ঋন সম্পর্কে বিস্তারিত একটি ধরনা পেয়েছেন। কি ভাবে আপনি কৃষি ব্যাংক লোনা এর জন্য আবেদন করবে? আবেদন করতে আপনার কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন, আপনার কি কি ডকুমেন্টস লাগবে তা আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা জানতে পেরেছেন।
আপনাদের কৃষি ব্যাংক লোন নিয়ে যদি আর কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে তা আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমাদের লেখাটি আপনার ভালো লাগলে শেয়ার করবেন।
কৃষি ব্যাংক লোন সম্পর্কিত কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQs):
কৃষি ব্যাংক লোন কীভাবে পাওয়া যাবে?
কৃষি ব্যাংক লোন পেতে হলে আপনার নিকটস্থ কৃষি ব্যাংকের শাখায় আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় দলিলপত্র প্রদান করতে হবে, যেমন পরিচয়পত্র, জমির দলিল, এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র।
কৃষি ব্যাংক লোনের জন্য কী ধরনের দলিলপত্র জমা দিতে হয়?
কৃষি ব্যাংক লোনের জন্য জমা দিতে হবে পরিচয়পত্র (জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট), জমির দলিল, কৃষি কাজের প্রমাণপত্র, এবং ব্যাংকের অন্যান্য চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
কৃষি ব্যাংক লোন কিসের জন্য ব্যবহার করা যায়?
কৃষি ব্যাংক লোন কৃষি ফসল উৎপাদন, প্রাণিসম্পদ পালন, মৎস্য চাষ, কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়, সেচ ব্যবস্থা উন্নয়ন ইত্যাদির জন্য ব্যবহার করা যায়।