আপনি কি ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য কি কি বিষয় জানা দরকার অথবা কি কি কাগজপত্র লাগবে সে সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে এসেছেন? যদি আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট কীভাবে খুলতে হয়, সে বিষয়ে জানার জন্য এসে থাকেন তাহলে এই অনুচ্ছেদটি আপনার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
এই অনুচ্ছেদে আমরা ডাচ বাংলা ব্যাংকে কীভাবে একাউন্ট খুলতে হয়? একটি সেভিংস একাউন্ট খুলতে কি কি বিষয় সম্পর্কে জানা উচিত এবং কি কি কাগজপত্র লাগবে? সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংকে যেকোনো প্রকারের একাউন্ট খোলার জন্য আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, সদ্য তোলা ২ কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি, নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্র ও ১ কপি সদ্য তোলা রঙিন ছবি নিয়ে নিকটস্থ ডাচ বাংলা ব্যাংকের শাখা অফিসে গিয়ে আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংকের যেকোনো শাখা অফিসে গিয়ে আপনি একাউন্ট খুলতে পারবেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক এর মালিক কে?
- ডাচ বাংলা ব্যাংক এর মালিক কে?
- ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার ও কি কি?
- ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এ সেভিংস একাউন্ট খুলতে যা যা লাগে
- ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম
- ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এ সেভিংস একাউন্ট করার সুবিধা
- ডাচ বাংলা একাউন্ট এর সেভিংস একাউন্ট করার অসুবিধা
- ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এর সেভিংস একাউন্টের জন্য প্রয়োজনীয় চার্জ
- ডিপোজিট প্লাস একাউন্ট
- সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট-স্ট্যান্ডার্ড
- এক্সেল সেভিংস একাউন্ট
- সুদমুক্ত সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট
- কারেন্ট ডিপোজিট একাউন্ট
- বিশেষ নোটিশ জমা একাউন্ট
- DBBL স্কুল সেভার একাউন্ট
- ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
- শেষকথা
ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড (DBBL) হচ্ছে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত একটি প্রাইভেট ব্যাংক। যা বাংলাদেশের এম. সাহাবুদ্দিন আহমদ এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য ডাচ ফিনান্সিং সংস্থা নামক নেদারল্যান্ডের একটি কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
বর্তমানে ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড ব্যাংকিং সেক্টরে প্রচুর সফলতার মুখ দেখছে। এই ব্যাংকিং সিস্টেম বর্তমানে এটিএম ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং ইত্যাদি বিভিন্ন সেক্টরে পদার্পণ করে সফলতার মুখ দেখছে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার ও কি কি?
ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার আগে কর প্রকারের ব্যাংক একাউন্টের সুবিধা দেয় এই বিষয়ে আমাদের জানা উচিত।
মূলত ডাচ বাংলা ব্যাংক সর্বমোট ৭ প্রকারের একাউন্টের সেবা প্রদান করে থাকে। এই ৭ প্রকারের ব্যাংক একাউন্ট গুলো মূলত দুই প্রকারে বিভিন্ন। একটি চলতি একাউন্ট এবং অন্যটি সেভিংস একাউন্ট। নিচে প্রতিটি একাউন্টের কিছু ধারণা প্রদান করতে চলেছি।
১। সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট স্ট্যান্ডার্ড
সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করতে হলে আপনাকে একাউন্টে ৫০০/= টাকা জমা রাখতে হবে। আপনি এই একাউন্ট তৈরি করার জন্য এর নিচে টাকা দিয়ে এই একাউন্ট চালু করতে পারবেন না। আমাদের দেশের ম্যাক্সিমাম লোক এই একাউন্টের সুবিধা ভোগ করে থাকে।
২। সেভিংস ডিপোজিট প্লাস একাউন্ট
সেভিংস ডিপোজিট প্লাস একাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনার একাউন্টে সর্বনিম্ন ৫০০০/= রাখতে হবে। এই টাকা আপনি কোনো সময়েও বের করতে পারবেন না। সেভিংস ডিপোজিট একাউন্টের ক্ষেত্র যেমনঃ এসএমএস এলার্ট, একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ, এটিএম কার্ড ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রে ডাচ বাংলা ব্যাংক চার্জ গ্রহণ করে থাকে।
৩। এক্সেল সেভিংস একাউন্ট
এক্সেল সেভিংস একাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনাকে অফেরতযোগ্য ৫০০/= প্রদান করতে হবে। যা আপনি পরবর্তীতে তুলতে পারবেন না। এক্সেল সেভিংস একাউন্টের এই ধাপে আপনি কখনোই ফ্রি চার্জযুক্ত কোনো সার্ভিস পাবেন না। প্রতিটি সেবার জন্য আপনাকে চার্জ প্রদান করতে হবে।
৪। ইন্টারেস্ট ফ্রি সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট
যারা ইন্টারেস্ট ফ্রি সেভিংস একাউন্ট চালু করতে আগ্রহী তারাই কেবল এই খুলতে চান। যারা সুদমুক্ত সেভিংস একাউন্ট করতে চান, তারা মূলত ধর্মপ্রিয় মুসলিম ইন্টারেস্ট ফ্রি সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট করতে আগ্রহী। তবে এটি চালু করতে অফেরতযোগ্য ৫০০০/= টাকা প্রদান করতে হয়।
৫। চলতি ডিপোজিট একাউন্ট
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এর চলতি ডিপোজিট একাউন্ট করতে হলে আপনাকে অফেরতযোগ্য ৫০০/ টাকা জমা দিতে হবে। একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ, এসএমএস এলার্ট, এটিএম কার্ড ইত্যাদি প্রতিটি সেবার জন্য আপনাকে প্রতিবছরে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ প্রদান করতে হবে।
৬। স্পেশাল নোটিশ ডিপোজিট একাউন্ট
স্পেশাক নোটিশ ডিপোজিট একাউন্ট চালু করতে হলে আপনার ব্যালেন্সে ২০০০ টাকা জমা রাখতে হবে। প্রতি বছর একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ ৫০০ টাকা প্রদান করতে হবে। এসএমএস এলার্ট, এটিএম কার্ড ও অন্যান্য সার্ভিস পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ প্রদান করতে হবে।
৭। ডিবিবিএল স্কুল সেভারস একাউন্ট
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এর মধ্যে ডিবিবিএল স্কুল সেভারস একাউন্ট তৈরিতে মিনিমাম ১০০/= টাকা জমা রাখতে হবে। একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ, এটিএম কার্ড চার্জ সম্পূর্ণরূপে ফ্রী। ম্যাক্সিমাম নাগরিক ডিবিবিএল স্কুল সেভারস একাউন্ট চালু করার জন্য আগ্রহী হন। কেননা, এই একাউন্টে কোনো চার্জ দিতে হয়না।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এ সেভিংস একাউন্ট খুলতে যা যা লাগে
ডাচ বাংলা ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট চালু করতে হলে কিছু দরকারি কাগজপত্র আছে যা একজন গ্রাহক তার সেভিংস একাউন্ট করার জন্য দরকার হয়। নিচে সকল দরকারি কাগজপত্র নিচের লিস্টে উল্লেখ্য করা হলো-
গ্রাহকের ক্ষেত্রে
যার নামে ব্যাংক একাউন্টটি চালু করা হবে তাকে মূলত ব্যাংকের গ্রাহক বলা হয়ে থাকে। তাই গ্রাহকের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত কাগজপত্র লাগবে। কিন্তু সবার আগে তাকে একজন বাংলাদেশী নাগরিক হতে অথবা জন্মসূত্রে বাংলাদেশের যেকোন ছেলে অথবা মেয়ে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট চালু করতে পারবেন।
- যিনি ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট চালু করবেন তার সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি যার সাথে ছবি যুক্ত আছে।
- জাতীয় পরিচয়পত্র না হলেও পাসপোর্ট বা অন্য কোনো আইডি কার্ড হলেও হবে।
- আপনার বিদ্যুৎ বিলের ১কপি ফটোকপি।
- যদি ব্যবসা করে থাকেন তাহলে ট্রেড লাইসেন্স দরকার পড়বে।
- আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যান্য তথ্য লাগবে।
নমিনির ক্ষেত্রে
একজন নমিনি তাকেই বলা হয়, যিনি গ্রাহকের একজন নিকটতম ব্যক্তি। যিনি একটি একাউন্টের সকল দায়ভার বহন করতে পারবেন। মূলত তাকেই ও গ্রাহকের নমিনি হিসেবে গ্রহনযোগ্যতা পাবেন।
- নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
- সদ্যতোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
- অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য যা একজন নমিনির ক্ষেত্রে দরকার হয়।
উপরের সকল দরকারি কাগজপত্র ও অন্যান্য দরকারী সকল তথ্য যা একটি ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য দরকার তা উল্লেখ্য করা হয়েছে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম
ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডে আপনার সেভিংস একাউন্ট খোলার জন্য কিছু নিয়ম নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। সাথে সাথে আপনার সাথে সকল দরকারী কাগজ যেমনঃ রঙিন ছবি, এনআইডি, নমিনির এনআইডি ইত্যাদি সংগ্রহ করে রাখতে হবে।
সকল দরকারি কাগজপত্র নিচে পাশের ডাচ বাংলা ব্যাংকে গিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার কাছে থেকে আবেদন নিয়ে সেটি পূরণ করতে হবে।
ব্যাংক থেকে যে আবেদন ফরমটি সংগ্রহ করবেন, সেই আবেদন ফরমটি অবশ্যই নির্ভুলভাবে পূরণ করবেন। প্রতিটি আবেদন ফরমের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিতে হয়।
আবেদন ফরমটি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা যেকোনো সার্টিফিকেট অনুযায়ী পূরণ করবেন তাহলেই নির্ভুল হবে। ফরম পূরণের সময় কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই ব্যাংকের কর্মকর্তার সহায়তা নিন। ব্যাংকের এজেন্ট আপনাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করবেন।
তাছাড়া, বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংকের সকল কর্মকর্তা তথা এজেন্টরা নিজেরাই সকল তথ্য পূরণ করে দেন। তারা আপনার কাছ থেকে সকল ইনফরমেশন নিয়ে নেন এবং আপনার বলার সাথে সাথেই সকল কিছু পূরণ করে দেন।
আবেদন ফরমটিতে কিছু দরকারি জিনিস যেমন আপনার ছবি ও আপনার ছবি যুক্ত করতে হবে। সাথে সাথে নমিনির ছবি ও স্বাক্ষর লাগবে।
সকল কাজ ঠিকমত হয়ে গেলে আপনাকে নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে। পরবর্তীতে একটা নির্দিষ্ট কার্যদিবসের মধ্য আপনার একাউন্ট সচল হয়ে যাবে।
আপনাকে পূনরায় ব্যাংকে ডাকা হতে পারে তবে বেশিরভাগ আর ডাকা হয়না। একাউন্ট একবার চালু হয়ে গেলে আপনাকে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এ সেভিংস একাউন্ট করার সুবিধা
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট তথা সেভিংস একাউন্ট করার কিছু সুবিধা রয়েছে। এই সকল সুবিধা অন্যান্য ব্যাংক দিয়ে থাকলেও আমাকে এই সকল সুবিধা অন্যান্য ব্যাংকের থেকে একটু ভালোই লেগেছে। তাই আমাদের ভালো লাগা কিছু সুবিধার কথা তুলে ধরলাম।
ইন্টারনেট ব্যাংকিং
প্রায় সকল ব্যাংকই ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা দিয়ে থাকে। তবে ডাচ বাংলা ব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর সুবিধা প্রদান করে থাকে। এই সুবিধার জন্য আপনাকে বার্ষিক চার্জ প্রদান করতে হয়। ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনি পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে ব্যাংকিং সুবিধাকে এক্সেস করতে পারবেন।
ডেভিট অথবা ক্রেডিট কার্ড
ব্যাংকিং সেবার আরোও একটি সুবিধা হচ্ছে ডেভিট কার্ড তথা ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা। ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট করলে আপনি এই ব্যাংকে গিয়ে ডেভিট অথবা ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করে এই কার্ডও সংগ্রহ করতে পারবেন।
লোন নেওয়ার সুবিধা
যেকোনো ব্যাংকে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একটি ব্যাংক একাউন্ট চালু করতে হবে। সোনালী ব্যাংকে লোন নিতে হলে যেমন আপনাকে ব্যাংক একাউন্ট করতে হয়। ঠিক তেমনি স্যালারি লোন বা অন্যান্য লোন নিতে হলে আপনাকে অবশ্যই প্রথমে ব্যাংক একাউন্ট করতে হবে।
ঠিক তেমনি ডাচ বাংলা ব্যাংকে লোন নেওয়ার সুবিধা রয়েছে। যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই যেকোনো সময় লোন নেওয়ার সুবিধা ভোগ করতে পারেন।
কম খরচে লেনদেনের সুযোগ
বাংলাদেশে যত ব্যাংক রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে কম খরচে আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকের যেকোন শাখায় অর্থ ট্রান্সফার করতে বা লেনদেন করতে পারবেন।
অন্যান্য ব্যাংকের মতো এই ব্যাংক লেনদেনের জন্য বেশি খরচ দিতে হয়। এই জন্যই আমি ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করে থাকি।
জমা টাকার উপর মুনাফা পাওয়ার সুযোগ
বর্তমানে আপনি চাইলে আপনার ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্টে যদি কোনো টাকা থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে মুনাফা অর্জনের জন্য একাউন্টটি মডিফাই করতে পারেন।
ফ্রি ডেবিট কার্ড সরবরাহ
প্রতিটি একাউন্টের বিপরীতে আপনি প্রথম বছর ফ্রি ডেভিট কার্ড সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। আপনি এই কার্ড দিয়ে ১ম বছর কোনো চার্জ প্রদান করতে হবেনা। কিন্তু, টাকা উত্তোলনের জন্য অর্থ প্রদান করতে হবে। কিন্তু কিছু ক্রয় করতে থাকলে আপনাকে কোনো চার্জ প্রদান করতে হবেনা। তবে, এই নিয়মটি যেকোনো সময় পরিবর্তন করতে পারে।
যেকোনো শাখায় টাকা উত্তোলন
পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট থেকে আপনি টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। যদি ঐখানে ডাচ বাংলা ব্যাংকের শাখা থাকে।
উপরে উল্লেখিত সকল সুবিধা অন্যান্য ব্যাংকও প্রদান করে থাকে, তবে আমার ব্যক্তিগত অভিমত অনুযায়ী এই ব্যাংক আমাদের অনেক সুবিধা প্রদান করে থাকে।
ডাচ বাংলা একাউন্ট এর সেভিংস একাউন্ট করার অসুবিধা
প্রতিটি জিনিসের কিছু ভালো দিক রয়েছে ঠিক তেমনি ভালোর সাথে সাথে কিছু অসুবিধাও রয়েছে। তাই ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এর ক্ষেত্রে কিছু অসুবিধাও রয়েছে। যেসকল বিষয় আমাদের অসুবিধা মনে হয়েছে সেসকল বিষয় নিচে তুলে ধরা হলো-
সেবা চার্জের পরিমাণ
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে চার্জ কাটা হয়। সেই চার্জ অনেক সময় বোঝা মনে হতে পারে। আসলে ডাচ বাংলা ব্যাংক মূলত একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চার্জ নেয়। যদি আপনার একাউন্টে ব্যালেন্স না থাকে তবে পরবর্তীতে যদি আপনার একাউন্টে টাকা জমা করেন, সেক্ষেত্রে টাকা কেটে নেওয়া হয়।
SMS-এর জন্য চার্জ
ডাচ বাংলা ব্যাংক SMS এর জন্য চার্জ কেটে নেয়। এই চার্জের পরিমাণ অর্ধ-বার্ষিক নেয় সেজন্য আমরা বুঝতে পারিনা। আপনার একাউন্ট থেকে যখন টাকা উত্তোলন করবেন, তখন ভেরিফিশন কল আসে সেটার জন্যও এই ব্যাংক নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ কেটে নেয়।
১৮ বছরের একাউন্ট নিচে একাউন্ট তৈরি
ডাচ বাংলা ব্যাংক তথা অন্যান্য সকল ব্যাংক ১৮ বছরের নিচে কোনো প্রকারে একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন না। কিন্তু স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে পারবেন কিন্তু এই একাউন্ট সার্বজনীন না হওয়া এটা একটা অসুবিধা।
লেনদেনের সীমা
বাংলাদেশের প্রায় সকল ব্যাংকের ক্ষেত্রে লেনদেনের একটা লিমিটেশন রয়েছে যা আসলেই একটা অসুবিধার কারণ। কেননা, কোনো কারণে আমাদের বেশি টাকা লেনদেন করার প্রয়োজন হতে পারে কিন্তু আপনাকে সেই সুবিধা দিতে পারবেনা।
উপরের সকল অসুবিধাগুলো মাঝে মাঝে আমাদের দেশের সকল গ্রাহক ভোগ করে থাকে। কিন্তু ব্যাংকের এসব বিষয়ে কিছু করার থাকেনা। প্রতিটি তফসিলিভুক্ত ব্যাংক পরিচালনা করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক কিছু নিয়ম নীতিমালা রয়েছে যা প্রতিটি ব্যাংকে মেনে নিতে হয়।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এর সেভিংস একাউন্টের জন্য প্রয়োজনীয় চার্জ
ডাচ বাংলা ব্যাংকে মূলত ৭ প্রকারের সেভিংস একাউন্ট চালু করা যায়। প্রতিটি একাউন্টের জন্য আলাদা আলাদা চার্জ প্রদান করতে হয়। নিচে প্রতিটি একাউন্ট চালু করার জন্য যেমন চার্জ প্রদান করতে হয় তা উল্লেখ্য করা হলো-
ডিপোজিট প্লাস একাউন্ট
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এ ডিপোজিট প্লাস একাউন্ট করার জন্য আপনাকে সর্বনিম্ন ৫০০০ টাকা ব্যালেন্সে রাখতে হবে। যা আপনি কখনো উত্তোলন করতে পারবেন না। আপনার একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১০ হাজার নিচে টাকা রাখলে একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ সম্পূর্ণ ফ্রি। কিন্তু এর চেয়ে বেশি পরিমাণ টাকা রাখলে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়।
ডাচ বাংলা ব্যাংকে ডিপোজিট প্লাস অ্যাকাউন্ট করার পর যেরকম চার্জ প্রদান করা হলো তা নিচের টেবিলে উল্লেখ্য করা হচ্ছে।
ডিপোজিট প্লাস একাউন্টের বিভিন্ন চার্জের পরিমাণ | |||
---|---|---|---|
বিষয় | চার্জ/ফির পরিমাণ | ||
ন্যূনতম ব্যালেন্স | ৫,০০০ টাকা। এই টাকার নিচের কোনো টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না। | ||
অর্ধবার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ ফি | অর্ধবার্ষিক ১০,০০০ টাকার কম থাকলে একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ। | ফ্রি | |
অর্ধবার্ষিক ১০,০০০ টাকার থেকে বেশি কিন্তু ২৫,০০০ টাকা চেয়ে কম থাকলে একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ। | ১০০ টাকা | ||
অর্ধবার্ষিক ২৫,০০০ টাকার থেকে বেশি কিন্তু ২০০,০০০ টাকা চেয়ে কম থাকলে একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ। | ২০০ টাকা | ||
অর্ধবার্ষিক ২০০,০০০ টাকার থেকে বেশি কিন্তু ১০,০০,০০০ টাকা চেয়ে কম থাকলে একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ। | ২৫০ টাকা | ||
অর্ধবার্ষিক ১০,০০,০০০ টাকার বেশি থাকলে একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ। | ৩০০ টাকা | ||
এটিএম/ডিবিবিএল নেক্সাস ডেবিট কার্ড ফি | ১ম বর্ষ ফ্রি কিন্তু পরের বছর থেকে ৪০০ টাকা। | ||
এসএমএস এলার্ট ফি | ২০০ টাকা (বার্ষিক)। | ||
চেক বুক | প্রতি পাতা ৫ টাকা। | ||
এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন সীমা | প্রতিদিন ৮০,০০০ টাকা । | ||
সর্বোচ্চ এটিএম লেনদেন | প্রতিদিন ৫ বার চার্জ (ফ্রি)। | ||
১০ বার প্রতিমাসে (ফি)। | |||
অতিরিক্ত লেনদেন করলে প্রতি লেনদেনে ৫ টাকা চার্জ দিতে হবে। | |||
ইন্টারনেট ব্যাংকিং/এসএমএস ব্যাংকিং সুবিধা | ফ্রি। | ||
একাউন্ট বন্ধ | ২০০ টাকা | ||
সুদের হার | ৫ লাখের নিচে টাকা রাখলে | ১.০০% | |
৫ লাখের উপরে কিন্তু ১৫ লাখের নিচে | ১.৫০% | ||
১৫ লাখের উপরে রাখলে | ২.০০% | ||
আবগারি শুল্ক এবং ভ্যাট | সরকারী নিয়ম অনুযায়ী | ||
অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট চার্জ | ১ম দুই বছর ফ্রি কিন্তু পরবর্তীতে ১০০ টাকা প্রতিবছর। |
সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট-স্ট্যান্ডার্ড
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এ সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট-স্ট্যান্ডার্ড একাউন্ট করতে হলে আপনাকে ন্যূনতম ৫০০ টাকা ব্যালেন্স জমা রাখতে হবে। এই জমাকৃত টাকা আপনি কখনো উত্তোলন করতে পারবেন না।
একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য বিভিন্ন প্রকারের টাকার পরিমাণের উপর আপনার একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ প্রদান করতে হবে। আপনার একাউন্টে যদি ১০ হাজার টাকার নিচে থাকে, তাহলে আপনাকে কোনো চার্জ প্রদান করতে হবে।
নিচে সেভিংস ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট-স্ট্যান্ডার্ড এর বিভিন্ন চার্জের পরিমাণ সম্পর্কে বিস্তারিত একটা টেবিল উল্লেখ্য করা হলো – যেখানে আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এর “সেভিংস ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট-স্ট্যান্ডার্ড” সম্পর্কে জানতে জানতে পারবেন।
সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট-স্ট্যান্ডার্ড এর বিভিন্ন চার্জের পরিমাণ | |||
---|---|---|---|
বিষয় | চার্জ/ফির পরিমাণ | ||
ন্যূনতম ব্যালেন্স | ৫,০০ টাকা। এই টাকার নিচের কোনো টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না। | ||
অর্ধবার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ ফি | অর্ধবার্ষিক ১০,০০০ টাকার কম থাকলে একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ। | ফ্রি | |
অর্ধবার্ষিক ১০,০০০ টাকার থেকে বেশি কিন্তু ২৫,০০০ টাকা চেয়ে কম থাকলে একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ। | ১০০ টাকা | ||
অর্ধবার্ষিক ২৫,০০০ টাকার থেকে বেশি কিন্তু ২০০,০০০ টাকা চেয়ে কম থাকলে একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ। | ২০০ টাকা | ||
অর্ধবার্ষিক ২০০,০০০ টাকার থেকে বেশি কিন্তু ১০,০০,০০০ টাকা চেয়ে কম থাকলে একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ। | ২৫০ টাকা | ||
অর্ধবার্ষিক ১০,০০,০০০ টাকার বেশি থাকলে একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ। | ৩০০ টাকা | ||
এটিএম/ডিবিবিএল নেক্সাস ডেবিট কার্ড ফি | ১ম বর্ষ ফ্রি কিন্তু পরের বছর থেকে ৪০০ টাকা। | ||
এসএমএস এলার্ট ফি | ২০০ টাকা (বার্ষিক)। | ||
চেক বুক | প্রতি পাতা ১০ টাকা। | ||
এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন সীমা | প্রতিদিন ২০,০০০ টাকা । | ||
সর্বোচ্চ এটিএম লেনদেন | প্রতিদিন ১ বার চার্জ (ফ্রি)। | ||
৩ বার প্রতিমাসে (ফি)। | |||
অতিরিক্ত লেনদেন করলে প্রতি লেনদেনে ৫ টাকা চার্জ দিতে হবে। | |||
ইন্টারনেট ব্যাংকিং/এসএমএস ব্যাংকিং সুবিধা | ফ্রি। | ||
একাউন্ট বন্ধ | ২০০ টাকা | ||
সুদের হার | ৫ লাখের নিচে টাকা রাখলে | ০.৫০% | |
৫ লাখের উপরে কিন্তু ১৫ লাখের নিচে | ১.০০% | ||
১৫ লাখের উপরে রাখলে | ১.৫০% | ||
আবগারি শুল্ক এবং ভ্যাট | সরকারী নিয়ম অনুযায়ী | ||
অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট চার্জ | ১ম দুই বছর ফ্রি কিন্তু পরবর্তীতে ১০০ টাকা প্রতিবছর। |
এক্সেল সেভিংস একাউন্ট
ডাচ বাংলা ব্যাংকের এক্সেল সেভিংস একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে ৫০০ টাকা দিয়ে চালু করতে হবে। এই ৫০০ টাকা আপনি কখনোই উত্তোলন করতে পারবেন না। প্রতিটি সেভিংস একাউন্টের জন্য ৬ মাস অন্তর অন্তর একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চার্জের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এক্সেল সেভিংস একাউন্ট খুললে আপনি চেকবুক বই ইস্যু করতে পারবেন না। সাধারণত চেকবুকের প্রতিটি পাতার জন্য ৫ টাকা করে আলাদা চার্জ প্রদান করতে হয়।
নিচে এক্সেল সেভিংস একাউন্টের জন্য যেসকল ক্ষেত্রে ফি’র পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে তার একটি টেবিল নিচে উল্লেখ্য করা হলো-
এক্সেল সেভিংস একাউন্টের বিভিন্ন চার্জের পরিমাণ | |||
---|---|---|---|
বিষয় | চার্জ/ফির পরিমাণ | ||
ন্যূনতম ব্যালেন্স | ৫,০০ টাকা। এই টাকার নিচের কোনো টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না। | ||
অর্ধবার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ ফি | অর্ধবার্ষিক ১০,০০০ টাকার কম থাকলে একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ। | ফ্রি | |
অর্ধবার্ষিক ১০,০০০ টাকার থেকে বেশি কিন্তু ২৫,০০০ টাকা চেয়ে কম থাকলে একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ। | ১০০ টাকা | ||
অর্ধবার্ষিক ২৫,০০০ টাকার থেকে বেশি কিন্তু ২০০,০০০ টাকা চেয়ে কম থাকলে একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ। | ২০০ টাকা | ||
অর্ধবার্ষিক ২০০,০০০ টাকার থেকে বেশি কিন্তু ১০,০০,০০০ টাকা চেয়ে কম থাকলে একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ। | ২৫০ টাকা | ||
অর্ধবার্ষিক ১০,০০,০০০ টাকার বেশি থাকলে একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ। | ৩০০ টাকা | ||
এটিএম/ডিবিবিএল নেক্সাস ডেবিট কার্ড ফি | ১ম বর্ষ ফ্রি কিন্তু পরের বছর থেকে ২০০ টাকা। | ||
এসএমএস এলার্ট ফি | ১০০ টাকা (বার্ষিক)। | ||
চেক বুক | কোনো চেকবুক ইস্যু করা যাবে না। | ||
এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন সীমা | প্রতিদিন ৫০,০০০ টাকা ফ্রি। | ||
সর্বোচ্চ এটিএম লেনদেন | প্রতিদিন ৫ বার চার্জ । | ||
❌ | |||
❌ | |||
ইন্টারনেট ব্যাংকিং/এসএমএস ব্যাংকিং সুবিধা | ফ্রি। | ||
একাউন্ট বন্ধ | ২০০ টাকা। | ||
সুদের হার | ৫ লাখের নিচে টাকা রাখলে | ০.৫০% | |
৫ লাখের উপরে কিন্তু ১৫ লাখের নিচে | ১.০০% | ||
১৫ লাখের উপরে রাখলে | ১.৫০% | ||
আবগারি শুল্ক এবং ভ্যাট | সরকারী নিয়ম অনুযায়ী | ||
অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট চার্জ | ১ম দুই বছর ফ্রি কিন্তু পরবর্তীতে ১০০ টাকা প্রতিবছর। |
সুদমুক্ত সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট
ইসলামী ভাবধারাপুষ্ট ব্যক্তিরা সুদমুক্ত সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট চালু করার জন্য বেশি আগ্রহী হয়ে থাকে। তাই ডাচ বাংলা ব্যাংক সুদমুক্ত সেভিংস ডিপোজিট একাউন্টের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এই প্রকারের একাউন্টের জন্য আপনাকে ন্যূনতম ৫,০০০ টাকা প্রদান করতে হবে। এই টাকা আপনি কখনোই উত্তোলন করতে পারবেন না। এই একাউন্ট চালু করলে এটিএম/ডিবিবিএল নেক্সাস ডেবিট কার্ড ফি, অর্ধবার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ ফি, এসএমএস এলার্ট ফি এবং অন্যান্য সেবার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ গ্রহণ করে থাকে।
নিচের টেবিলে সুদমুক্ত সেভিংস ডিপোজিট একাউন্টের কোন কোন সেবার জন্য কি পরিমাণ চার্জ নির্ধারণ করা হয়েছে তা নিম্নে উল্লেখ্য করা হলো-
সুদমুক্ত সেভিংস ডিপোজিট একাউন্টের বিভিন্ন চার্জের পরিমাণ | |||
---|---|---|---|
বিষয় | চার্জ/ফির পরিমাণ | ||
ন্যূনতম ব্যালেন্স | ৫,০০০ টাকা। এই টাকার নিচের কোনো টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না। | ||
অর্ধবার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ ফি | অর্ধবার্ষিক ১০,০০০ টাকার কম থাকলে একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ। | ফ্রি | |
অর্ধবার্ষিক ১০,০০০ টাকার থেকে বেশি কিন্তু ২৫,০০০ টাকা চেয়ে কম থাকলে একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ। | ১০০ টাকা | ||
অর্ধবার্ষিক ২৫,০০০ টাকার থেকে বেশি কিন্তু ২০০,০০০ টাকা চেয়ে কম থাকলে একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ। | ২০০ টাকা | ||
অর্ধবার্ষিক ২০০,০০০ টাকার থেকে বেশি কিন্তু ১০,০০,০০০ টাকা চেয়ে কম থাকলে একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ। | ২৫০ টাকা | ||
অর্ধবার্ষিক ১০,০০,০০০ টাকার বেশি থাকলে একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ। | ৩০০ টাকা | ||
এটিএম/ডিবিবিএল নেক্সাস ডেবিট কার্ড ফি | ১ম বর্ষ ফ্রি কিন্তু পরের বছর থেকে ৪০০ টাকা। | ||
এসএমএস এলার্ট ফি | ২০০ টাকা (বার্ষিক)। | ||
চেক বুক | প্রতিপাতা ৫ টাকা। | ||
এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন সীমা | প্রতিদিন ৮০,০০০ টাকা । | ||
সর্বোচ্চ এটিএম লেনদেন | প্রতিদিন ৮ বার চার্জ । | ||
❌ | |||
❌ | |||
ইন্টারনেট ব্যাংকিং/এসএমএস ব্যাংকিং সুবিধা | ফ্রি। | ||
একাউন্ট বন্ধ ফি | ২০০ টাকা। | ||
আবগারি শুল্ক এবং ভ্যাট | সরকারী নিয়ম অনুযায়ী। | ||
সুদ | নেই | ||
অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট চার্জ | ১০০ টাকা বছরে দুইবার বিনামূল্যে। |
কারেন্ট ডিপোজিট একাউন্ট
কারেন্ট ডিপোজিট একাউন্ট হচ্ছে একটি চলমান একাউন্ট। এই ধরণের একাউন্টে ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড কোন সুদ প্রদান করে না।
ইন্টারনেট ব্যাংকিং/এসএমএস ব্যাংকিং সুবিধা সম্পূর্ণ ফ্রি’তে প্রদান করা হয়। এটিএম/ডিবিবিএল নেক্সাস ডেবিট কার্ড ফি প্রথম বর্ষ ফ্রি’তে কিন্তু পরবর্তী বছরগুলোতে ৪০০ টাকা করে প্রদান করতে হবে।
নিচে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এর কারেন্ট ডিপোজিট একাউন্ট সম্পর্কে যে সকল সেবার প্রদান করার জন্য চার্জ নির্ধারণ করা হয়েছে। সেসকল বিষয় নিচে উল্লেখ্য করা হলো-
বিষয় | চার্জ / ফি’র পরিমাণ |
---|---|
সর্বনিম্ন ব্যালেন্স | ১০০০ টাকা |
একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ ফি | ৩০০ টাকা (৬মাস পরপর) |
এটিএম/ডিবিবিএল নেক্সাস ডেবিট কার্ড ফি | ১ বছর ফ্রি |
পরবর্তীতে প্রতিবছর ৪০০ টাকা। | |
SMS এলার্ট ফি | প্রতিবছর ২০০ টাকা |
চেকবুক | প্রতি পাতা ৫ টাকা |
ইন্টারনেট ব্যাংকিং/এসএমএস ব্যাংকিং সুবিধা | ফ্রি |
একাউন্ট বন্ধ ফি | ৩০০ টাকা |
সুদের হার | নেই |
আবগারি শুল্ক এবং ভ্যাট | সরকারী নিয়ম অনুযায়ী |
বিশেষ নোটিশ জমা একাউন্ট
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এর অনেক সেভিংস একাউন্টের মধ্যে বিশেষ নোটিশ জমা একাউন্ট হচ্ছে একটি বিশেষ একাউন্ট। এই একাউন্ট চালু করার জন্য আপনাকে সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা প্রদান করতে হবে।
এই ধরণের একাউন্টের জন্য একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ ফি ৬ মাস অন্তর ৫০০ টাকা করে প্রদান করতে হয়। SMS এলার্ট ফি প্রতিবছর ২০০ টাকা চার্জ লাগবে। ইন্টারনেট ব্যাংকিং/এসএমএস ব্যাংকিং সুবিধা ও অন্যান্য সেবা ব্যবহার করলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ প্রদান করতে হবে।
বিষয় | চার্জ / ফি’র পরিমাণ | |
---|---|---|
সর্বনিম্ন ব্যালেন্স | ২০০০ টাকা | |
একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ ফি | ৫০০ টাকা (৬ মাস পরপর)। | |
এটিএম/ডিবিবিএল নেক্সাস ডেবিট কার্ড ফি | ১ম বর্ষ ফ্রি | |
প্রতিবছর ৪০০ টাকা। | ||
SMS এলার্ট ফি | প্রতিবছর ২০০ টাকা। | |
চেকবুক | প্রতি পাতা ৫ টাকা। | |
ইন্টারনেট ব্যাংকিং/এসএমএস ব্যাংকিং সুবিধা | ফ্রি | |
সুদের হার | ১ কোটি টাকার নিচে হলে | ১.০০% |
১ কোটির উপরে এবং ২.৫ কোট টাকার নিচে হলে | ২.০০% | |
২.৫ কোটি টাকার উপরে এবং ৫ কোটি টাকার নিচে হলে | ২.৫০% | |
৫ কোটি টাকার উপরে এবং ১০ কোটি টাকার নিচের হলে | ২.৫% | |
১০ কোটি টাকার উপরে হলে | ২.৫% | |
আবগারি শুল্ক এবং ভ্যাট | সরকারী নিয়ম অনুযায়ী |
DBBL স্কুল সেভার একাউন্ট
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এর অন্যান্য সেভিংস একাউন্টের মতো না DBBL স্কুল সেভার একাউন্ট। এই ধরণের একাউন্ট চালু করতে হলে অবশ্যই আপনাকে একজন স্টুডেন্ট হতে হবে। অন্যথায় আপনি এই ধরণের একাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন না।
বিষয় | চার্জ / ফি’র পরিমাণ |
---|---|
সর্বনিম্ন ব্যালেন্স | ১০০টাকা |
একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ ফি | নেই |
এটিএম/ডিবিবিএল নেক্সাস ডেবিট কার্ড ফি | ফ্রি |
SMS এলার্ট ফি | ফ্রি |
ইন্টারনেট ব্যাংকিং/এসএমএস ব্যাংকিং সুবিধা | ফ্রি |
একাউন্ট বন্ধ ফি | নেই |
সুদের হার | সেভিংস ডিপোজিট প্লাস অ্যাকাউন্টের হার অনুযায়ী সুদ |
আবগারি শুল্ক এবং ভ্যাট | সরকারী নিয়ম অনুযায়ী |
ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এর মধ্য DBBL School Savers Account ই হচ্ছে স্টুডেন্ট একাউন্ট। এই ধরণের একাউন্ট করার জন্য আপনাকে যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী হতে হবে। অন্যথায় আপনি এই ধরণের একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন না।
যখন কোনো ছাত্র বা ছাত্রী এই ধরণের একাউন্ট করবেন, সেক্ষেত্রে সেই অধ্যয়নরত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড, জন্ম নিবন্ধনের সনদ, নমিনির তথ্য ইত্যাদি লাগে।
সকল তথ্য সংগ্রহ থাকলে সকল ডকুমেন্টস ও তথ্য নিয়ে ডাচ বাংলা ব্যাংকের নিকটস্থ শাখায় যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে আবেদন ফরম নিয়ে সেটি যত্ন সহকারে পূরণ করতে হবে।
কোনো সমস্যা হলে শাখার ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সাথে কথা বলে সমস্যা সমাধান করে নেওয়া যায়।
নিচের নিস্টে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এর স্টুডেন্ট একাউন্ট করতে যা যা লাগে তার একটি লিস্ট দেওয়া হলো-
স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে যা যা লাগে
- স্টুডেন্টের জন্ম নিবন্ধন কার্ড যদি জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকে।
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত স্টুডেন্ট আইডি কার্ড।
- স্টুডেন্ট যে প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নত আছে তার প্রত্যয়নপত্র।
- সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
- আপনি যাকে নমিনি করবেন তার ১ কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
- নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
একজন ছাত্র বা ছাত্রী যদি ডাচ বাংলা ব্যাংকের স্টুডেন্ট একাউন্টের সুবিধা ভোগ করতে চান, তাহলে উপরে উল্লেখিত সকল তথ্য অবশ্যই ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য নিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস ২০২৪ | খোলার নিয়ম ও সুবিধাসমূহ
শেষকথা
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার প্রয়োজনীয় তথ্য উপরের উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে আপনি বোনাসসহ সকল প্রকারের একাউন্টের জন্য কি কি সেবা প্রদান করা হয় এবং প্রতিটি সেবার জন্য কি পরিমাণ চার্জ নেওয়া হয় সে সম্পর্কে বলা হয়েছে। ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট সম্পর্কিত কোনো তথ্য জানার আগ্রহ থাকলে অবশ্যই আমাদের জানাবেন।