ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ও সুবিধা | IBBL Account Open & Benifit

ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে অনেকের অজানা থাকতে পারে। ইসলামী ব্যাংকে কীভাবে একাউন্ট খুলবেন, কি কি কাগজপত্র লাগবে, একাউন্ট চালু করার জন্য কি নিয়ম অনুসরণ করতে হবে এসব বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছে।

আপনি যদি ইসলামী ব্যাংকের অধীনে একটি ইসলামী একাউন্ট খুলতে চান, তাহলে এই অনুচ্ছেদে আপনি জানতে পারবেন আপনি কীভাবে একাউন্ট খুলতে পারবেন।

আপনাদের অনেকের মনে ইসলামী ব্যাংক সম্পর্কে অনেক কনফিউশন রয়েছে। ব্যাংক একাউন্ট খোলার আগে এসব বিষয় পরিষ্কার করে নেওয়া অনেক ভালো। কেননা, এই ব্যাংকের অধীনে অনেক ক্যাটাগরি রয়েছে এর মধ্যে থেকে আপনি কোন ক্যাটাগরি অনুসারে ব্যাংক একাউন্ট চালু করতে ইচ্ছুক সেই বিষয়ে না জানা থাকলে আপনি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগবেন।

তাই, এই অনুচ্ছেদটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যাতে আপনার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে জানতে পারেন। তো চলুন শুরু করি-

ইসলামী ব্যাংক কী?

ইসলামী ব্যাংক হচ্ছে এমন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যার প্রধান উদ্দেশ্য ব্যাংকিং সেক্টরে ইসলামী শরিয়াহ্‌ প্রতিষ্ঠা করে ব্যাংকিং সেক্টরকে সুদবিহীন ব্যাংক ব্যবস্থা কায়েম করা। এটি একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেখানে ইসলামে উল্লেখিত সকল নিয়ম-কানুন মেনে চলা হয়। ব্যাংকের সংজ্ঞা থেকেই এ প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য পরিষ্কার বোঝা যায়।

ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট এর প্রকারভেদ

ইসলামী ব্যাংকে ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার এই সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। মূলত ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট ৩ ধরণের হয়ে থাকে। একই ব্যক্তি একসাথে এই তিনটি একাউন্টের মালিক হতে পারবেন না। এই ৩ প্রকারের ইসলামী একাউন্ট গুলো হচ্ছে-

  • কারেন্ট একাউন্ট
  • সেভিংস একাউন্ট
  • স্টুডেন্ট একাউন্ট

উপরে উল্লেখিত একাউন্ট খুলতে কি কি লাগবে এবং কারা এই তিন ধরণের একাউন্টের মধ্যে কে কোন ধরণের একাউন্টের মালিক হতে পারবেন, এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

কারেন্ট ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ও দরকারি ডকুমেন্টস

কারেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য প্রতিটি ব্যাংকের মতো ইসলামী ব্যাংকও কোনো ইন্টারেস্ট দেয়না। যদিও আমরা জানি এই ব্যাংকিং সিস্টেমের মুল বৈশিষ্ট্য সুদবিহীন ব্যাংকিং সেক্টর তৈরি করা।

কারেন্ট একাউন্ট সবাই চালু করতে পারবেন। এই একাউন্টের জন্য ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহককে কোনো ইন্টারেস্ট দেওয়া হয়না।

এই একাউন্টের মাধ্যমে তার ব্যবহারকারী কোনো প্রকারের সীমা ছাড়া টাকা লেনদেন করতে পারবেন। যেমন অন্যান্য ব্যাংকের ক্ষেত্রে কিছু লিমিটেশন রয়েছে, কিন্তু ইসলামী ব্যাংকের জন্য কোনো সীমা নেই।

সাধারনত অর্থ লেনদেনের সীমা ছাড়া কারেন্ট ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট চালু করতে যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস লাগবে।

চলুন জেনে নিই, এই একাউন্ট চালু করার জন্য আপনার কি কি ডকুমেন্ট লাগবে এবং সীমাছাড়া লেনদেনের অ্যাক্সেস পাওয়ার জন্য আপনার কি কি ডকুমেন্টস জমা দেওয়া লাগবে।

কারেন্ট একাউন্ট খুলতে প্রয়জনীয় ডকুমেন্টস

মূলত কারেন্ট ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট চালু করার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির জন্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের ডকুমেন্টস লাগতে পারে। কারণ, এই একাউন্ট যে কেউ খুলতে পারে। তবে শুধু বাংলাদেশী নাগরিকরাই কেবল এই সুবিধা পাবেন। নিচে এই একাউন্ট খোলার জন্য কি কি ডকুমেন্টস লাগবে তা লিস্ট আকারে প্রদান করা হয়েছে।

গ্রাহকের ক্ষেত্রে দরকারী ডকুমেন্টস

গ্রাহকে দরকারী ডকুমেন্টস এর মধ্যে রয়েছে – গ্রাহকের ভোটার আইডি কার্ডের ছবি / গ্রাহকের ড্রাইভিং লাইসেন্স / পাসপোর্ট / জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপির যেকোন একটি। এই একাউন্ট চালু করতে গ্রাহককে ২ কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।

যদি আপনি একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে একটা কারেন্ট ইসলামী একাউন্ট চালু অথবা আপনার নামে যদি কোন ব্যবসা থাকে তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এবং ব্যবসা করার জন্য চলতি একাউন্ট তৈরি করতে টিআইএন নম্বর দরকার হবে।

নমিনির ক্ষত্রে দরকারী ডকুমেন্টস

প্রতিটি ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য নমিনি নাগবেই। কেননা, গ্রাহকের অবর্তমানে সবকিছুর দাবীদার বা অংশীদার নমিনি হতে পারে। তাই কারেন্ট ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট চালু করতে একজন নমিনি লাগবে। নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের এককপি রঙিন ফটোকপি এবং নমিনি সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ফটোকপি।

উপরিউক্ত ডকুমেন্ট ছাড়াও আরোও কিছু ডকুমেন্ট দরকার হতে পারে। যেমনঃ কেউ যদি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে চলতি একাউন্ট খুলতে চায়, তাহলে প্রতিষ্ঠানের সকল ডকুমেন্ট সাথে নিতে হবে। আর আপনি যদি ব্যবসায়িক কাজের জন্য একাউন্ট খুলতে আসেন, তাহলে আপনাকে টিআইএন নম্বরের সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে হবে।

নিচে সকল ডকুমেন্টস লিস্ট আকারে প্রদান করা হলো, যাতে আপনার বোঝার কোনো সমস্যা না হয়।

  • গ্রাহকের ভোটার আইডি কার্ড / ড্রাইভিং লাইসেন্স / পাসপোর্ট / জন্ম নিবন্ধন এর রঙিন ফটোকপি।
  • সদ্য তোলা গ্রাহকের ২ কপি রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • নমিনির জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং ১ কপি রঙিন ছবি।
  • আপনার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট বা ই টিন সার্টিফিকেট প্রযোজ্য হবে।

এই সকল ডকুমেন্টের সাথে ব্যাংকে গিয়ে সেখানে একটি কারেন্ট একাউন্ট চালু করার জন্য আবেদন ফরম নিতে হবে। আপনি চাইলে এই ফরমটি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন অথবা ব্যাংকে গিয়ে সেখান থেকেও সংগ্রহ করতে পারবেন।

কারেন্ট বা চলমান ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে উপরে উল্লেখিত সকল ডকুমেন্টস সাথে নিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি উপরের ডাউনলোড লিংক অনুসরণ করে পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করে ফরম পূরণ করে নিকটস্থ ইসলামী ব্যাংকে জমা দিলেই আপনার একাউন্ট চালু হয়ে যাবে।

ইসলামী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম ও দরকারি ডকুমেন্টস

ইসলামী ব্যাংকে যখন আপনি সেভিংস একাউন্ট তৈরি করতে চাইবেন, তখন অন্যান্য একাউন্টের মত এই একাউন্ট তৈরি করতে কিছু দরকারী কাগজপত্র এবং ডকুমেন্টস লাগবে।

ইসলামী ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট বা ব্যবসায়িক একাউন্ট তৈরি করতে যেসকল দরকারি কাগজ লাগবে তার সকল তথ্য নিচে বর্ণনা করার হলো।

আপনি একজন গ্রাহক হিসেবে যদি ইসলামী ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট করতে চান তাহলে আপনার এবং আপনার নমিনির ২ কপি করে সর্বমোট ৪ কপি রঙিন ছবি লাগবে। এই ছবিগুলো অবশ্যই সদ্য তোলা হতে হবে।

গ্রাহক এবং নমিনির পরিচয় ভেরিফাই / যাচাই করতে তাদের ভোটার আইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন ইত্যাদি যেকোন একটি ফটোকপি থাকতে হবে।

আবার কোনো কোনো গ্রাহক রয়েছেন যারা ব্যবসায়িক সেভিংস একাউন্ট তৈরি করতে চান, সেক্ষেত্রে টিআইএন নম্বর এবং ব্যবসার অন্যান্য দলিলাদির দরকার হবে।

উপরে উল্লেখিত সকল তথ্য নিচে লিস্ট আকারে দেওয়া হলো, যার ফলে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন সেভিংস ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করতে কি কি ডকুমেন্টস লাগবে।

সাধারণ ব্যক্তির ক্ষেত্রে

  • গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্র / ভোটার আইডি কার্ড / ড্রাইভিং লাইসেন্স / পাসপোর্ট / জন্ম নিবন্ধন পত্র ইত্যাদির ফটোকপি।
  • নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্র / ভোটার আইডি কার্ড / ড্রাইভিং লাইসেন্স / পাসপোর্ট / জন্ম নিবন্ধন পত্র ইত্যাদির ফটোকপি।
  • গ্রাহক ও নমিনির সদ্য তোলা ২ কপি করে মোট ৪ কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি। তবে নমিনির ১ কপি হলেই চলবে।

ব্যবসায়িক একাউন্ট করার ক্ষেত্রে

  • গ্রাহক যদি ব্যবসায়িক ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করতে চান সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের টিআইএন সার্টিফিকেট প্রযোজ্য হবে।
  • গ্রাহকের একাউন্টটি যদি ট্রাস্ট হয়, তাহলে ট্রাস্টের দলিলসহ অন্যান্য প্রমাণাদির কাগজ।
  • প্রতিষ্ঠান তথা স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশন থাকতে হবে।
  • কম্পানির ক্ষেত্রে মেমোরেন্ডাম এন্ড আর্টিকেলস অব এসোসিয়েশনের সত্যায়িত অনুলিপি লাগবে।

যখন আপনি সেভিংস ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করবেন, উপরের সকল দরকারী কাগজপত্র ভুল করবেন না।

এই প্রকারের ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনাকে আবেদন করতে হবে, এই আবেদন পত্রটি আপনি অনলাইনে পেয়ে যাবেন। অথবা আপনি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করলে আপনি খুব সহজেই আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করতে পারবেন।

মূলত উপরে উল্লেখিত ডাউনলোড লিংক থেকে ডাউনলোডকৃত ফরমটি পূরণ করে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করার সময় জমা দিতে হবে।

এটা অবশ্যই মনে রাখবেন, আপনার সকল তথ্য বৈধ হওয়া জরুরি। সাথে আপনার নমিনিকে নিয়ে যেতে ভুলবেন না।

স্টুডেন্ট ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করার নিয়ম ও সুবিধা

ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট এর অধীনে স্টুডেন্ট একাউন্ট তৈরি করার কিছু সুবিধা রয়েছে। সকল সুবিধা লিস্ট আকারে নিচে তুলে ধরা হলো-

  • ইসলামী ব্যাংকের অধীনে স্টুডেন্ট একাউন্টের জন্য এটিএম চার্জ দিতে হবে না। অর্থাৎ, একজন স্টুডেন্ট ইসলামী ব্যাংকের অধীনে এটিএম কার্ডের মাধ্যমে যত লেনদেন করবেন, সেক্ষেত্রে কোনো চার্জ প্রদান করতে হবেনা।
  • ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।
  • স্টুডেন্ট একাউন্টের মাধ্যমে যেকোন ব্যাংকে টাকা পাঠাতে পারবে খুব সহজেই।
  • স্বল্প খরচে ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।

একটি স্টুডেন্ট ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট দিয়ে একজন স্টুডেন্ট উপরে উল্লেখিত সকল প্রকারের সুবিধা পাবেন।

ইসলামী ব্যাংকের অধীনে স্টুডেন্ট একাউন্টের বিভিন্ন সুবিধার কথা জানলাম। এবার আমরা জানবো একটি স্টুডেন্ট একাউন্ট তৈরি করার জন্য কি কি ডকুমেন্টস লাগবে।

স্টুডেন্ট ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট তৈরির জন্য ডকুমেন্টস

ইসলামী ব্যাংকের অধীনে স্টুডেন্ট ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনাকে একজন ছাত্র হতে হবে। অন্যথায়, আপনি চাইলেই এই একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন না। সে জন্য আপনার ছাত্র হওয়ার সকল প্রমাণাদি জমা দিতে হবে। যেমনঃ আপনি সর্বশেষ কোথায় স্টুডেন্ট হিসেবে আছেন, সে প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ণ পত্র জমা দিতে হবে।

তাছাড়া, অন্যান্য প্রমাণাদি যেমনঃ জাতীয় পরিচয়পত্র / ভোটার আইডি কার্ড / ড্রাইভিং লাইসেন্স / পাসপোর্ট / জন্ম নিবন্ধন পত্র ইত্যাদির ফটোকপি। এবং নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্র / ভোটার আইডি কার্ড / ড্রাইভিং লাইসেন্স / পাসপোর্ট / জন্ম নিবন্ধন পত্র ইত্যাদির ফটোকপি।

গ্রাহক ও নমিনির সদ্য তোলা ২ কপি করে মোট ৪ কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি। তবে নমিনির ১ কপি হলেই চলবে।

তাছাড়া এখানে আরেকটি বিষয় আছে, যেহেতু বাংলাদেশে অনেক বিদেশী লেখাপড়া করার জন্য আসে। তাই একজন বিদেশী ছাত্রের ক্ষেত্রে স্টুডেন্ট ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন না। এই একাউন্ট তৈরি করতে অবশ্যই স্টুডেন্টের মাতা-পিতা বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।

আপনার উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্ট বুঝতে অসুবিধা হতেই পারে, তাই নিচে সকল ডকুমেন্ট লিস্ট আকারে প্রদান করা হলো-

  • স্টুডেন্টের এনআইডি কার্ড থাকলে এনআইডি কার্ডের ফটোকপি অথবা থাকলে জন্মনিবন্ধনের ফটোকপি।
  • স্টুডেন্টের সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদানকৃত প্রত্যয়ন পত্র।
  • মাতা-পিতার মধ্য যেকোন একজনের জাতীয় পরিচয়পত্র। অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  • নমিনির জন্ম নিবন্ধন কার্ডের ফটোকপি / জাতীয় পরিচয়পত্রের ১ কপি ফটোকপি এবং ১ কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

উপরে উল্লেখিত সকল ডকুমেন্ট সহকারে আপনাকে ইসলামী ব্যাংকের যেকোনো একটি শাখায় উপস্থিত হলে আপনি স্টুডেন্ট ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।

যখন আপনি ইসলামী ব্যাংকের শাখায় যাবেন, তখন আপনি অবশ্যই সকল ডকুমেন্ট নিয়ে যাবেন। কেননা, উপরে উল্লেখিত কোনো ডকুমেন্ট নিয়ে না গেলে আপনি ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন না।

অনলাইনে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করার নিয়ম

অনলাইনের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি করতে হলে আপনাকে গুগল প্লেস্টোর থেকে ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত অ্যাপটি ডাউনলোড করে একাউন্ট তৈরি করতে হবে।

বাংলাদেশের সকল নাগরিক এই অ্যাপটি ডাউনলোড করে ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে একটি ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।

এই একাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র এবং বাংলাদেশী নাগরিক প্রমাণের জন্য অবশ্যই আপনাকে জাতীয় পরিচয় সাবমিট করতে হবে।

এই অ্যাপের মাধ্যমে একাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনাকে বাংলাদেশের যেকোনো সীমের মাধ্যমে আপনি এই একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।

উপরে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে শুরুতে গুগল প্লে থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে।

এই অ্যাপটি ডাউনলোড করা সম্পূর্ণ হলে আপনি অ্যাপে দেখানো সকল ধাপ অনুসরণ করে অনলাইনে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।

ইউটিউবে এই ভিডিওটি দেখলে আরোও ক্লিয়ার হয়ে যাবে। কীভাবে আপনি অনলাইনে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করবেন।

আরও পড়ুনঃ ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে | কিভাবে খুলতে হয়

সারকথা

এই অনুচ্ছেদে আমরা জানলাম ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি কীভাবে করবেন। প্রতিটি একাউন্ট তৈরির জন্য আলাদা আলাদাভাবে লিখছি। এরপরেও যদি কোনো সমস্যা হয় অবশ্যই যোগাযোগ করতে ভুলেবেন না।

ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ও সুবিধা: FAQs

ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য কী কী কাগজপত্র প্রয়োজন?

সাধারণত একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি, এবং বর্তমানে ব্যবহার করা মোবাইল নম্বর দিতে হয়। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আয় সংক্রান্ত তথ্যও প্রয়োজন হতে পারে।

ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য বয়স সীমা কী?

সাধারণত ১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সীরা নিজ নামে একাউন্ট খুলতে পারেন। তবে অভিভাবকের অনুমোদন সাপেক্ষে ১৮ বছরের নিচের ব্যক্তিরাও একাউন্ট খুলতে পারেন।

ইসলামী ব্যাংক একাউন্টের জন্য ন্যূনতম জমা কত রাখতে হয়?

একাউন্টের ধরনভেদে ন্যূনতম জমা পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে। সঞ্চয়ী একাউন্টের জন্য সাধারণত ৫০০-১০০০ টাকা প্রয়োজন হয়।

ইসলামী ব্যাংকের একাউন্ট কি অনলাইনে খোলা যায়?

হ্যা, সেলফিনের মাধ্যমে একাউন্ট খুলা যায়। তবে অনেক ক্ষেত্রে প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হয় এবং পরে ব্যাংক শাখায় গিয়ে কাগজপত্র জমা দিতে হয়।

একাউন্ট খোলার পর কতদিনের মধ্যে চেকবই ও এটিএম কার্ড পাওয়া যায়?

একাউন্ট খোলার ৭-১০ কার্যদিবসের মধ্যে চেকবই ও এটিএম কার্ড সংগ্রহ করা যায়। তবে কার্ড সরবরাহের সময় ব্যাংকের উপর নির্ভর করে।

ইসলামী ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে কি বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ করা যায়?

হ্যাঁ, ইসলামী ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ করা যায় এবং এটি দ্রুততার সাথে একাউন্টে জমা হয়।

Leave a Comment