সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট, কিভাবে ব্যবহার করবেন | Sonali Bank E Wallet App

সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের একটি ওয়ালেট মোবাইল অ্যাপ। এই ওয়ালেট অ্যাপটি টাকা পাঠানো, বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠানো এবং মোবাইল সিমে রিচার্জ করার একটি ডাইনামিক এবং সুরক্ষিত পেমেন্ট গেটওয়ে।

সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট ব্যবহার করার প্রতিটি মুহুর্তে আপনি নোটিফিকেশান পাবেন। আপনি চাইলে যেকোনো সময় টাকা লেনদেনের সকল ইতিহাস দেখতে পারবেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি প্রতিটি লেনদেনের সারসংক্ষেপ দেখতে পাবেন।

তাছাড়া, সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট শীঘ্রই বাজারে গ্রাহকের চাহিদা পূরণের জন্য খুব উত্তেজনাপূর্ণ এবং উদ্ভাবনী পরিষেবাগুলি দেখানোর জন্য বাজারে ছেড়েছে। এই পরিষেবা দ্বারা গ্রাহক তার লেনদেনের সকল বিষয় ই-ওয়ালেট দ্বারা খুব সহজেই করা যাবে।

এই অনুচ্ছেদে আপনি সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেটের চার্জ, ব্যবহারের নিয়মাবলী এবং সুবিধা-অসুবিধা ইত্যাদি সবকিছুই জানতে চলেছেন।

সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা

সোনালী ব্যাংক লিমিটেড গ্রাহদের লেনদেনের সমস্যা সমাধান করার জন্য একটি ইলেকট্রনিক গেটওয়ে চালু করেছে। এর মাধ্যমে আপনি দেশে-বিদেশে টাকা লেনদেন করতে পারবেন খুব সহজেই। এই পেমেন্ট গেটওয়েকে সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট বলা হয়।

সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ই-ওয়ালেটে মূলত পাঁচটি সেকশন রয়েছে। এই মোবাইল অ্যাপটি চালানোর জন্য এই পাঁচটি সেকশন পড়ে নিলে অনেক উপকৃত হবেন। যেহেতু, এই অ্যাপটি গ্রাহকের ব্যাংক একাউন্টের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে এবং এই অ্যাপটি অর্থ লেনদেনের সাথে সম্পর্কিত, তাই এই অ্যাপকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা উচিত। নিচের পাঁচটি সেকশন সম্পর্কে জানলে সোনালী ব্যাংকের ই-ওয়ালেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

  • সাধারণ তথ্যাবলি
  • ব্যবহারের পূর্বশর্ত
  • ডাউনলোড
  • অ্যাপে রেজিষ্ট্রেশন এবং লগইন
  • বৈশিষ্ট্য এবং কার্যকারিতা

সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট সম্পর্কে সাধারণ তথ্যাবলি

সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক ব্যাংক তথা সোনালী ব্যাংকের সোনালী সেবা। সোনালী ব্যাংক এর মাধ্যমে প্রতিটি গ্রাহকদের জন্য নতুন একটি ফিচার যুক্ত হয়েছে। ফলে গ্রাহকরা সকল প্রকারের অনলাইন থেকে যেকোন সুবিধা পাবে।

এই প্রক্রিয়াটি হচ্ছে একধরণের পেমেন্ট গেটওয়ে যার মাধ্যমে গ্রাহকরা দেশে – বিদেশে লেনদেন করতে পারবেন। এই অ্যাপটির মাধ্যমে বাংলাদেশের অনলাইন বাজারে কেনাকাটাও করতে পারবেন।

সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট ব্যবহারের পূর্বশর্ত

সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট ব্যবহার করতে বাংলাদেশের নাগরিকদের মূলত ৩ ধরণের পূর্বশর্ত থাকে। এই ৩ ধরণের পূর্বশর্ত না থাকলে আপনি এই মোবাইল অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন না।

এই ৩ ধরণের পূর্বশর্তের মধ্যে সোনালী ব্যাংকে একটি সঞ্চয়ী একাউন্ট/ চলতি একাউন্ট / এসএনডি একাউন্ট থাকা জরুরী। তা না হলে আপনি সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট ব্যবহার করতে পারবেন না। নিচে এই তিনটি শর্ত বর্ণনা করা হলো যাতে আপনার ই-ওয়ালেট ব্যবহার করতে সুবিধা হয়।

১। ব্যাংক একাউন্টঃ সোনালী ই-ওয়ালেট অ্যাপটি ব্যবহারের জন্য প্রতিটি গ্রাহকের একটি সঞ্চয়ী একাউন্ট/ চলতি একাউন্ট / এসএনডি একাউন্ট থাকতে হবে। ব্যাংক একাউন্ট না থাকলে আপনি ই-ওয়ালেট একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন না।

২। হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার শর্তঃ যেকোনো মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মিনিমাম কিছু যোগ্যতা রয়েছে। সেই ব্যবহারের যোগ্যতা না থাকলে আপনি শত চেষ্টা করলেও এই অ্যাপটি ইন্সটল করতে পারবেন না। তাই সোনালী ব্যাংকের ই-ওয়ালেট মোবাইলে ইন্সটল করতে এন্ড্রয়েড অথবা আইওএস অপারেটিং সিস্টেম থাকা লাগবে।

সোনালী ব্যাংকের ই-ওয়ালেট মোবাইলে ইন্সটল করতে এন্ড্রয়েডের সর্বনিম্ন ভার্সন হচ্ছে এড্রেয়েড ৪.৪ অথবা এড্রয়েড কিটকাট ভার্সনের অপারেটিং সিস্টেমে ইন্সটল করতে পারবেন। আপনি যদি আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনার আইফোনের অপারেটিং সিস্টেমের ভার্সন ৯.০ হতে হবে।

৩। ইন্টারনেট কানেকশনঃ আপনি যদি সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট অ্যাপটি ডাউনলোড এবং ব্যবহার করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই ইন্টারনেট কানেশন লাগবে। যেহেতু, আপনি অনলাইনে ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতেই, তাই অবশ্যই আপনার ইন্টারনেট কানেশন থাকা আবশ্যক।

কীভাবে সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট অ্যাপটি ডাউনলোড করবেন?

সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট অ্যাপটি ডাউনলোড করার জন্য গুগল প্লে-স্টোর অথবা অ্যাপ স্টোরে গিয়ে ডাউনলোড করে নিতে হবে। আপনি যদি এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে গুগল প্লে-স্টোরে গিয়ে ডাউনলোড করতে হবে। কিন্তু, আপনি যদি আইফোন ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে অ্যাপ স্টোরে গিয়ে সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে।

এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারী ক্ষেত্রে

আপনি একজন এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারী হওয়ায় আপনি যখন সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট অ্যাপটি ডাউনলোড করতে যাবেন, তখন আপনার মোবাইলে থাকা প্লে-স্টোর অ্যাপটি চালু করবেন। তারপর সার্চবারে “Sonali e-Wallet” লিখে সার্চ করবেন। সার্চ করলে আপনি নিচের মতো আপনার মোবাইল স্ক্রিনে দেখতে পাবেন। অথবা আপনি যদি নিচের দেওয়া লিংকে ক্লিক করে তাতেও আপনি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছে যাবেন।

উপরের বাটনে ক্লিক করার পর আপনি সরাসরি সোনালী ব্যাংক কর্তৃক তৈরিকৃত একটি অ্যাপের পেইজে চলে যাবেন। সেখানে গিয়ে দেখতে পাবেন, এই অ্যাপটি সোনালী ব্যাংক কর্তৃক তৈরিকৃত একটি অ্যাপ।

ধরে নিলাম আপনি উপরের লিংকে গিয়ে অ্যাপের পেইজে চলে গেছেন, তারপর সোজাসুজি “Install” বাটনে ক্লিক করে ইন্সটল করে নিবেন। ইন্সটল করে নেওয়ার পর অ্যাপটি চালু করে আপনার এবং আপনার ব্যাংক একাউন্টের সকল তথ্য দিয়ে লগইন করলে আপনি এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন।

আইফোন ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রে

আপনি একজন আইফোন ব্যবহারকারী হওয়ায় আপনি যখন সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট অ্যাপটি ডাউনলোড করতে যাবেন, তখন আপনার মোবাইলে থাকা অ্যাপ স্টোর অ্যাপটি চালু করবেন। তারপর সার্চবারে “Sonali e-Wallet” লিখে সার্চ করবেন। সার্চ করলে আপনি নিচের মতো আপনার মোবাইল স্ক্রিনে দেখতে পাবেন। অথবা আপনি যদি নিচের দেওয়া লিংকে ক্লিক করে তাতেও আপনি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছে যাবেন।

উপরের ছবিতে আপনি দেখতে পাচ্ছেন এই অ্যাপটি সোনালী ব্যাংক কর্তৃক তৈরিকৃত একটি অ্যাপ। যদি আপনি এরকম ছবি, আপনার মোবাইল স্ক্রিনে না দেখতে পান তাহলে ইন্সটল করবেন না।

ধরে নিলাম আপনি উপরের মতো স্ক্রিনে গিয়েছেন, তারপর সোজাসুজি “Install” বাটনে ক্লিক করে ইন্সটল করে নিবেন। ইন্সটল করে নেওয়ার পর অ্যাপটি চালু করে আপনার এবং আপনার ব্যাংক একাউন্টের সকল তথ্য দিয়ে লগইন করলে আপনি এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন।

সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট ব্যবহার করার সুবিধা

সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট পরিষেবা নিয়ে এসেছে মূলত গ্রাহকদের ২৪ ঘন্টা সুবিধা দেওয়ার দিকটি লক্ষ্য রেখে। এই অ্যাপের মাধ্যমে যেকোনো গ্রাহক ২৪ ঘন্টা সপ্তাহে ৭ সুবিধা নিতে পারবেন। নিচে এই পরিষেবার সুবিধার কথা তুলে ধরা হলো-

  • সোনালী ব্যাংকের এই পরিষেবার মধ্যে দিয়ে এক একাউন্ট থেকে টাকা অন্য একাউন্টে টাকা যেকোনো সময় পাঠানো যাবে।
  • এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি সোনালী ব্যাংকের একাউন্ট থেকে বিইএফটিএন এর মাধ্যমে যেকোনো ব্যাংকের একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন।
  • আপনি সোনালী ব্যাংকের একাউন্ট থেকে টাকা নিয়ে বাংলাদশের সকল সিমে টাকা রিচার্জ করতে পারবেন।
  • ওয়ালেট দিয়ে গ্রাহকরা খুব সহজেই টাকা সেন্ড করতে পারবেন।
  • সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট ব্যবহার করে এর গ্রাহকেরা খুব সহজেই ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করতে পারবেন।
  • আপনার সোনালী ব্যাংকের একাউন্টে কত টাকা রয়েছে, তা দেখার জন্য আপনাকে আর ব্যাংকে যেতে হবেনা।
  • এই ওয়ালেটের মাধ্যমে যেকোনো গ্রাহক সর্বোচ্চ ১০টি ট্রানজেকশনের স্টেটমেন্ট চেক করতে পারবে।
  • এই ওয়ালেটের মাধ্যমে আপনি ক্রেডিট কার্ডের বিল প্রদান করতে পারবেন।
  • এই ওয়ালেটের মাধ্যমে গ্রাহকের একাউন্ট কোন ব্রাঞ্চে অবস্থিত, তা দেখা যাবে।
  • এটিএম বুথের লোকেশন জানা যাবে।

সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট ব্যবহার করে অনেকেই সোনালী ব্যাংকের একাউন্টে প্রতি মাসের চাকরির বেতন আসে, তা আপনি সরিসরি এই ওয়ালেটে নিয়ে আসতে পারবেন। ফলে আপনি ২৪ ঘন্টা যেকোনো জায়গা থেকে বেতনের টাকা সংগ্রহ করতে পারবেন।

সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট ব্যবহারে সতর্কতা / শর্তসমূহ

সোনালী ব্যাংকের একাউন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, প্রতিটি ব্যাংক একাউন্ট টাকা লেনদেনের সাথে সম্পর্কিত। অন্যদিকে সোনালী ব্যাংকের ই ওয়ালেট অনলাইন ভিত্তিক একটি ই-সেবা। ফলে এর সতর্কের বিষয়টি আরোও গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনি এই অ্যাপটি ব্যবহার করার সময় নিচের বিষয়গুলো অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন।

  • আপনি যে মোবাইল নাম্বার দিয়ে ব্যাংকের একাউন্ট করেছেন, সেই নাম্বার দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন এবং লগইন করতে হবে।
  • যদি কোনো কারণে আপনার ডিভাইস হারিয়ে যায়, সাথে সাথে ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। আপনি ব্যাংকের হটলাইন নাম্বারে কল দিয়ে আপনার সমস্যার কথা জানাতে পারবেন।
  • যখন আপনি সোনালী ব্যাংক ওয়ালেট অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করবেন, তখন আপনাকে অবশ্যই প্রথমে রেজিষ্টেশন করে তারপর ব্যবহার করতে হবে।
  • কেবল সঞ্চয়ী / চলতি একাউন্টের গ্রাহকেরা “Sonali e-Wallet” সেবা পেতে পারবেন।
  • যৌথভাবে পরিচালিত কোনো একাউন্টে এই “Sonali e-Wallet” পরিষেবা দেওয়া হয়না।
  • সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট এর পরিষেবা শুধু এন্ড্রয়েড এবং আইওএস ব্যবহারকারীরা কেবল এই সুবিধা পাবেন।
  • Dormant/ Inoperative/ Deceased হিসাবে এই পরিষেবা প্রদান করা হবে না।
  • একজন গ্রাহক একই সাথে একাধিক মোবাইলে এই সুবিধা পাবেন না। গ্রাহকের নিরাপত্তার খাতিরে এটা করা হয়েছে।

সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট অনেক গুরুত্বপূর্ণ একাউন্ট। কেননা, এই অ্যাপএর মাধ্যমে যেকোনো ব্যাংকে সব টাকা এক ক্লিকেই তুলে নিতে পারবেন। তাই এই অ্যাপটি ব্যবহারের সময় একাউন্টের নিরাপত্তা সম্পূর্ণ গ্রাহকের কাছে।

সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট ব্যবহার করার নিয়মাবলী

সোনালী ব্যাংকের ই ওয়ালেট বিভিন্ন কারণে ব্যবহার করা হয়। কেউ এই একাউন্ট ব্যবহার করে সোনালী ব্যাংকের এক শাখা থেকে অন্য শাখায় টাকা পাঠায়। আবার কেউ সোনালী ব্যাংকের একাউন্ট থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা পাঠায়। আবার কেউ বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠায়, সেই টাকা উত্তোলনের জন্য সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট ব্যবহার করে থাকে।

সোনালী ব্যাংকের এক একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে

সোনালী ব্যাংকের এক একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে টাকা পাঠানোর জন্য আপনাকে প্রথমে সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট অ্যাপে প্রবেশ করতে হবে। কিন্তু, অবশ্যই আপনাকে ই ওয়ালেট অ্যাপে রেজিষ্ট্রেশন করার মোবাইল নাম্বার দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। অন্যথায় আপনি লগইন করত পারবেন না।

একবার আপনি লগইন হয়ে গেলে প্রথমে “Transaction” বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপর পরবর্তী পেজে চলে যাবে। সেখানে আপনি “Send Money” নামে একটি বাটন পাবেন। সেখানে ক্লিক করলে পরবর্তী পেইজ একাউন্ট সিলেকশন পেইজে চলে আসবেন। এখানে আপনাকে “Account to Account (Sonali Bank)” অপশন সিলেক্ট করতে হবে।

তারপর আপনি আপনার ওয়ালেট পেইজের ব্যাংক ব্যালেন্স পেইজে চলে যাবেন। এখানে আপনি আপনার এমাউন্ট দেখতে পাবেন। আপনি যে টাকা পাবেন তার পরিমাণ বসিয়ে পিন নাম্বার দেওয়ার পর “Submit” বাটনে ক্লিক করলে আপনার মোবাইলে “OTP” আসবে। এই “OTP” বসিয়ে আপনাকে “Transaction” সম্পূর্ণ করতে হবে।

সোনালী ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা অন্য ব্যাংকে

সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট ব্যবহার করে অন্য ব্যাংকে টাকা পাঠানোর জন্য আপনাকে “BEFTN” বাটন ব্যবহার করতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে প্রথমে সোনালী ই ওয়ালেট অ্যাপে লগইন করে নিতে হবে।

আপনার ই ওয়ালেট অ্যাপে লগইন করার পর আপনি অনেকগুলো বাটন পাবেন। এর মধ্যে থেকে আপনাকে “BEFTN” বাটনটি ব্যবহার করতে হবে। এই বাটনে ক্লিক করার পর আপনি যে একাউন্টে পাঠাবেন, সেই একাউন্টটি কোন জেলায় অবস্থিত সে জেলা নির্বাচন করতে হবে। এরপর ব্যাংক নাম সিলেক্ট করার পর “NEXT” বাটনে ক্লিক করতে হবে।

আপনি যে শাখায় টাকা পাঠাবেন, সে শাখা নির্বাচন করার পর যদি টাকা গ্রাহকের একাউন্টের সাথে মিলে যায় তাহলে আপনার টাকা চলে যাবে। টাকার ট্রানজেকশন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জন্য আপনার মোবাইলে একটি “OTP” আসবে সেটি বসিয়ে ভেরিফাই করতে হবে।

এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে একটু সময় নেয়, কারণ আপনার ব্যাংক এই প্রক্রিয়াটি ম্যানুয়ালি যাচাই করে থাকে। কিন্তু, যদি ছুটির দিন হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে দেরি হতে পারে।

সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট এর মাধ্যমে লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা

প্রতিটি ব্যাংক তাদের গ্রাহকের একাউন্টে টাকা প্রবেশ এবং পাঠানোর জন্য কিছু সীমা দিয়ে থাকে। এই সীমার বাইরে টাকা সেন্ড করতে চাইলে অবশ্যই ব্যাংকের সাহায্য নিতে হবে। আপনি ই ওয়ালেটের মাধ্যমে এই সীমার বাইরে অর্থ গ্রহণ এবং প্রেরণ করতে পারবেন না।

একজন ব্যক্তি ই ওয়ালেটের হিসেব অনুযায়ী লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা ৪,০০,০০০ টাকা মাসিক এবং দৈনিক সীমা ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের জন্য ১,০০,০০০ টাকা থেকে ৪,০০,০০০ টাকা ই ওয়ালেটের মাধ্যমে করে থাকে। একজন গ্রাহক দৈনিক সর্বোচ্চ ১,০০,০০০ টাকা এবং মাসিক ৪,০০,০০০ টাকা লেনদেন করতে পারে।

সোনালী ব্যাংক ব্যতীত অন্যান্য ব্যাংকে দৈনিক সীমা ৫০,০০০ টাকা এবং মাসিক সীমা ২,০০,০০০ টাকা হয়ে থাকে। কিন্তু সোনালী ব্যাংক সকল ব্যাংকের চেয়ে বেশি টাকা ট্র্যান্সফার করা সুযোগ পেয়ে থাকেন।

সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট হেল্পলাইন

সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট ব্যবহার করার সময় যদি কোন সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংকের ই সেবা আপনার সাথে কথা বলার জন্য ২৪ ঘন্টা জেগে থাকে। নিচের টেবিলে আপনি সোনালী ব্যাংকের ই ওয়ালেট এজেন্টের সাথে কথা বলার জন্য নাম্বার এবং ইমেইল নাম্বার রয়েছে।

মোবাইল নাম্বারইমেইল অ্যাড্রেস
01406000000sblewallet@sonalibank.com.bd

উপরের নাম্বারে তখনই কল দিবেন যখন আপনার কোনো সমস্যা অথবা কিছু জানা থাকবে। অযথা কাউকে কল এবং ইমেইল অ্যাড্রেসে মেসেজ দিয়েন না। নাম্বার গুলো ভালো কাজে ব্যবহার করবেন।

আরও পড়ুনঃ বিকাশ লোন | City Bank bKash Loan | কিভাবে নিবেন, কারা পাবেন, কত টাকা পাবেন

শেষকথা

এই অনুচ্ছেদ থেকে আমরা বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেটের ব্যবহার, ডাউনলোড করার প্রক্রিয়া, টাকা লেনদেন করা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। অর্থ লেনদেনের সমস্যা হলে অবশ্যই ব্যাংক গুলোকে আপনার সমস্যার কথা জানাতে হবে।

সোনালী ব্যাংক ই-ওয়ালেট: সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ):

সোনালী ব্যাংক ই-ওয়ালেট কী?

সোনালী ব্যাংক ই-ওয়ালেট হলো একটি ডিজিটাল ওয়ালেট সার্ভিস, যা গ্রাহকদের মোবাইলের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের সুযোগ করে দেয়। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা সহজেই টাকা আদান-প্রদান, বিল পেমেন্ট, মোবাইল রিচার্জ, এবং আরও অনেক কিছু করতে পারেন।

সোনালী ব্যাংক ই-ওয়ালেট ব্যবহার করার সুবিধা কী কী?

ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে গ্রাহকরা নিম্নলিখিত সুবিধা উপভোগ করতে পারেন:
মোবাইল থেকে টাকা লেনদেন
ইউটিলিটি বিল পরিশোধ
মোবাইল রিচার্জ
একাউন্ট ব্যালেন্স চেক
সহজ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার

সোনালী ব্যাংক ই-ওয়ালেট দিয়ে কীভাবে টাকা পাঠানো যায়?

ই-ওয়ালেট থেকে টাকা পাঠানোর জন্য অ্যাপে লগইন করে ‘Send Money’ অপশন নির্বাচন করুন। এরপর প্রাপক নম্বর ও পরিমাণ লিখে সাবমিট করুন। আপনার ট্রানজেকশন পাসওয়ার্ড প্রবেশ করালে লেনদেন সম্পন্ন হবে।

সোনালী ব্যাংক ই-ওয়ালেট থেকে ইউটিলিটি বিল কিভাবে পে করা যায়?

ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করতে হলে ‘Bill Payment’ অপশনে গিয়ে বিলের ধরণ নির্বাচন করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিন। এরপর পেমেন্ট কনফার্ম করলে আপনার বিল পরিশোধ সম্পন্ন হবে।

যদি আমি পাসওয়ার্ড ভুলে যাই, তাহলে কী করব?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে সোনালী ব্যাংক ই-ওয়ালেট অ্যাপে ‘Forgot Password’ অপশন ব্যবহার করে নতুন পাসওয়ার্ড সেট করতে পারবেন।

Leave a Comment