আপনি কি অনলাইনে সর্বজনীন পেনশন রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়ম (UPENSION GOV BD Online Apply) জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে এসেছেন? এই অনুচ্ছেদটি সাজানো হয়েছে মূলত কীভাবে আপনি খুব সহজেই অনলাইনে সর্বজনীন পেনশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বাংলাদেশ জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ তথা UPENSION GOV BD বাংলাদেশের প্রথম সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের সকল জনগণকে বৃদ্ধকালে সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করা। বৃদ্ধকালে সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করার কারণ হচ্ছে দেশের অনেক মানুষের বৃদ্ধকালে অর্থ-সম্পদ থাকে না। ফলে বৃদ্ধকালে তাদের দেখাশোনার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য এবং চিকিৎসার জন্য অর্থের প্রয়োজন হতে পারে।
যদি আপনি অনলাইনে সর্বজনীন পেনশন রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়ম তথা UPENSION GOV BD Online Apply করার জন্য কোনো সঠিক নির্দেশনা খুঁজে থাকেন, তাহলে এই অনুচ্ছেদটি আপনার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম । UPENSION GOV BD ওয়েবসাইটে কয়টি স্কিম চালু করা হয়েছে?
বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রথম একটা বড় স্কিম চালু করেছে। এই স্কিমের আওতায় সর্বমোট ৬টি স্কিম চালু করার কথা ছিলো। কিন্তু, বর্তমানে ৪টি স্কিম চালু করা হয়েছে। প্রতিটি স্কিমে যুক্ত হওয়ার যোগ্যতা আলাদা আলাদা করা হয়েছে।
কেউ যদি সরকারি চাকরিজীবী, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্মরত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহন করতে পারবেন না। কেননা, এই সকল কর্মকর্তা / কর্মচারীদেরকে ইতিপূর্বেই পেনশন বা অবসরভাতা প্রদান করা হয়।
বর্তমানে চালুকৃত ৪টি স্কিমে একজন ব্যক্তি কেবল একটি স্কিমেই যুক্ত হতে পারবেন, প্রয়োজনে পরবর্তীতে কোনো কারণে পেশার পরিবর্তন হলে স্কিম পরিবর্তন করা যাবে। নিচে এই ৪টি স্কিম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
১। প্রবাস সর্বজনীন স্কিম
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ তথা UPENSION GOV BD থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রবাস স্কিমে কেবল প্রবাসে কর্মরত সকল বাংলাদেশী নাগরিক প্রবাস স্কিমে মাসিক চাঁদার পরিশোধ করে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রবাস সর্বজনীন স্কিমে অংশগ্রহণ করতে চাইলে প্রবাসীরা অনলাইনের মাধ্যমে ফরম পূরণ করে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তাদের মাসিক চাঁদা যেকোন মুদ্রায় পরিশোধ করতে পারবেন। তবে এটা জেনে রাখা ভালো যে যখন আপনি পেনশন পাওয়া শুরু করবেন, তখন আপনাকে টাকায় পরিশোধ করা হবে।
২। প্রগতি সর্বজনীন স্কিম
বাংলাদেশের বেসরকারি চাকরিজীবীরা দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত থাকার পরেও তারা বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে অবসরভাতা / পেনশন পাননা। তাই বাংলাদেশের বর্তমান সরকার বেসরকারি কর্মচারী/ প্রতিষ্ঠানের সকল চাকরিজীবীদের জন্য প্রগতি সর্বজনীন স্কিম ব্যবস্থা চালু করেছে।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ তথা UPENSION GOV BD থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এই স্কিমে কেউ যদি অংশগ্রহণ করতে চাইলে তাকে অবশ্যই কোনো বেসরকারি কর্মচারী / প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী হতে হবে। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করতে চায়, তাহলে অর্ধেক অংশ চাকরিজীবীরা এবং বাকি অংশ উক্ত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে।
৩। সুরক্ষা সর্বজনীন স্কিম
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ তথা UPENSION GOV BD থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বকর্ম ও অ-প্রাতিষ্ঠানিক কর্মীরা এই স্কিমের আওতায় চাঁদা প্রদান করার মাধ্যমে সুরক্ষা সর্বজনীন স্কিমে যুক্ত হতে পারবেন। থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বকর্ম ও অ-প্রাতিষ্ঠানিক কর্মী বলতে বোঝায় মূলত কৃষক, ফ্রিলেন্সার, উদ্যোক্তা, খামারি ইত্যাদি ব্যক্তিরাই সুরক্ষা সর্বজনীন স্কিমে যুক্ত হতে পারবেন।
৪। সমতা সর্বজনীন স্কিম
বাংলাদেশ সরকারের সবচেয়ে মহৎ উদ্যোগ হচ্ছে এই স্কিমটি। কেননা, এই স্কিমে গরীব ও নিম্নবিত্ত সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করে চালু করা হয়েছে। এই স্কিমে চাঁদার পরিমাণ খুবই সামান্য হওয়ায় এই স্কিমে বাংলাদেশ সরকারের খাত থেকে কিছু পরিমাণ অর্থ সাধারণ জনগণের চাঁদার সাথে যুক্ত করা হবে।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ তথা UPENSION GOV BD থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এই স্কিমে মূলত বার্ষিক ৬০ হাজার টাকার কম আয়ের ব্যক্তিরাই ৫০০ টাকা করে চাঁদা প্রদান করে যুক্ত হতে পারবেন। এই স্কিমের মোট চাঁদার পরিমাণ ১,০০০ টাকা। পেনশনারের কাছ থেকে ৫,০০ টাকা এবং সরকারি খাত থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে সর্বমোট ১,০০০ টাকা চাঁদা প্রদান করা হয়ে থাকে।
সর্বজনীন পেনশন অনলাইন আবেদন করতে কি কি লাগে | UPENSION GOV BD Online Apply?
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিশেষ ক্ষমতা বলে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে। যদিও এই পেনশন স্কিমে ৬টি স্কিম চালু হওয়ার কথা, কিন্তু বর্তমানে ৪টি স্কিম চালু করেছে বাংলাদেশ সরকার। প্রতিটি স্কিমে অংশগ্রহণ করার জন্য কিছু দরকারি কাগজপত্র লাগে।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ তথা UPENSION GOV BD থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী যেকোনো স্কিমে অংশগ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে। এই পেনশন স্কিমে আবেদন করার জন্য যা যা দরকার লাগে তা নিচে উল্লেখ্য করা হলো-
১। জাতীয় পরিচয়পত্র / পাসপোর্ট
UPENSION GOV BD থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী যদি কোনো ব্যক্তি সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করতে চান, তাহলে তাকে অবশ্যই বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে। বাংলাদেশী নাগরিক হলে আপনার কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র থাকবে যা PENSION GOV BD Online Apply করার জন্য দরকার লাগবে। মূলত আবেদন করার সময় আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরটাই শুধু লাগবে।
প্রবাসে অবস্থিত কোনো ব্যক্তি যদি জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকে তারপরও আপনারা পাসপোর্টের নম্বর দিয়ে জাতীয় পেনশন স্কিমের জন্য আবেদন করতে পারবেন। পরবর্তীতে আপনাকে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে সাবমিট করতে হবে।
২। মোবাইল নম্বর ও ইমেইল এ্যাড্রেস
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ তথা UPENSION GOV BD Online Apply করার জন্য আপনাকে অবশ্যই মোবাইল নম্বর ও ইমেইল এ্যাড্রেস থাকা লাগবে। মোবাইল নম্বর ও ইমেইল এ্যাড্রেস নেওয়ার কারণ হচ্ছে আপনার প্রতিমাসের পেনশনের সকল তথ্য আপনার কাছে অটোমেটিক চলে যাবে মোবাইল নম্বর এবং ইমেইল এড্রেসের মাধ্যমে।
৩। ব্যাংক একাউন্ট নম্বর
UPENSION GOV BD Online Apply করার সময় আপনাকে অবশ্যই ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করতে হবে। আপনার যদি কোনো ব্যাংক একাউন্ট না থাকে, তাহলে আপনি এই স্কিমের আবেদন প্রক্রিয়াটি শেষ করতে পারবেন না। যদি আপনার ব্যাংক একাউন্ট না থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনাকে যেকোনো স্বায়ত্তশাসিত বাণিজ্যিক ব্যাংকে গিয়ে একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।
৪। নমিনি
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যেহেতু পেনশনার বেচে থাকার উপর নির্ভর করে, তাই নমিনি যুক্ত করা খুব জরুরী। যদি কোনো পেনশনার একজনের বেশি নমিনি যুক্ত করতে চান, তাহলে তাদের নাম ও অংশের পরিমাণ সবকিছু উল্লেখ করে দিতে হবে।
অনলাইনে সর্বজনীন পেনশন রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়ম | UPENSION GOV BD Online Apply
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার জন্য আপনাকে UPENSION GOV BD নামক অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এই ওয়েবসাইটে গিয়ে পেনশনার নামক বাটনে ক্লিক করে রেজিষ্ট্রেশন শেষ করতে হবে।
রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করতে হলে আপনাকে মাসিক চাঁদা মোবাইল ব্যাংকিং, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড অথবা ব্যাংকের মাধ্যমে চাঁদা প্রদান করার পর আবেদন প্রক্রিয়াটি শেষ হবে। কেননা, আপনি অনলাইনে সর্বজনীন পেনশন রেজিষ্ট্রেশন তথা UPENSION GOV BD Online Apply করলেই হবেনা। আপনাকে আপনার স্কিমের মাসিস চাঁদা প্রদান করে আপনার আবেদন ফরম শেষ করতে হবে।
একজন পেনশনার একাউন্ট বা অনলাইনের মাধ্যমে UPENSION GOV BD Online Apply করতে হলে যে ধাপগুলো অনুসরণ তা ক্রমানুসারে প্রদান করা হলো-
১। পেনশনার একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন
পেনশনার একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য আপনাকে সর্বজনীন পেনশনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট গিয়ে পেনশনার রেজিষ্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করতে হবে। রেজিষ্ট্রেশন ক্লিক করার পর আপনার কাছে একটি নতুন পেইজ চালু হবে। যেখানে উল্লেখ থাকবে যে, আপনি সর্বজনীন পেনশন কর্তপক্ষের সকল নিয়ম কানুন মেনে চলবেন। আপনি যদি সম্মতি প্রদান করে থাকেন, তাহলে “আমি সম্মত আছি” বাটনে ক্লিক করতে হবে।
উক্ত বাটনে ক্লিক করার পর আপনাকে পরবর্তী পেইজে নিয়ে যাবে, যেখানে আপনাকে এনআইডি নম্বর, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর ও ইমেইল এড্রেস সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
২। ইমেইল ও মোবাইল নম্বর প্রদান
অনলাইনের মাধ্যমে UPENSION GOV BD Online Apply করার এই ধাপে আপনাকে এনআইডি নম্বর, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর ও ইমেইল এড্রেস সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। যদি এই ধাপে কোন ভুল হয়ে যায় তাহলে আপনি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই অবশ্যই সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করা উচিত।
এনআইডি নম্বর, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর ও ইমেইল এড্রেস সঠিকভাবে পূরণ করার পর আপনাকে একটি ক্যাপচা কোড থাকবে যা আপনাকে ক্যাপচা বক্সে বসাবেন। যদি কোনো কারণে ক্যাপচা কোড ভুল প্রদান করে থাকেন, তাহলে আপনাকে নতুন করে রিফ্রেশ দিতে হবে।
ক্যাপচা কোড সঠিকভাবে প্রদান করলে আপনাকে পরবর্তী পেইজ বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপর একটি নতুন পেইজ আসবে, যেখানে আপনাকে একটি OTP কোড বসানোর জন্য একটি জায়গা থাকবে।
আপনি আগের পেইজে যে মোবাইল নম্বর প্রদান করেছেন, সেই মোবাইল নম্বরে একটি OTP কোড আসবে। সেই OTP কোডটি উক্ত বক্সে বসিয়ে মোবাইল নম্বরটি ভেরিফাই করে নিবেন।
৩। পেনশনারের ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান
অনলাইনের মাধ্যমে UPENSION GOV BD Online Apply করার এই ধাপে আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে। ব্যক্তিগত তথ্য বলতে মূলত আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর, বার্ষিক আয় এবং আপনার পেশা নির্বাচন করতে হবে।
পেনশনার তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর প্রদান করলে অটোমেটিকভাবে নির্বাচন কমিশন থেকে আপনার নাম, আপনার মাতা-পিতার নাম, বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা লোড হবে।
তারপর পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য আপনাকে বিভাগ, জেলা, ও উপজেলার নাম নির্বাচন করতে হবে। তারপর আপনাকে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে।
৪। পেনশনার স্কিম তথ্য প্রদান
অনলাইনের মাধ্যমে UPENSION GOV BD Online Apply করার এই ধাপে পেনশনারের ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করার পর আপনি যখন এই ধাপে আসবেন, তখন আপনাকে পেনশনার কি স্কিম দিবেন তা নির্ধারণ করা হয়। তার সাথে মাসিক কত টাকা চাঁদা প্রদান করবেন, সেই বিষয়েও তথ্য এই ধাপে প্রদান করা হয়।
তাছাড়া আপনি যে স্কিমটি পছন্দ করবেই, সেই স্কিমে আপনি মাসিক চাঁদা প্রদান করবেন নাকি ত্রৈমাসিক নাকি বার্ষিক এই বিষয়ে পছন্দ করতে হয়। আপনি যদি মাসিক না দিয়ে ত্রৈমাসিক চাঁদা প্রদান করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার প্রতিমাসে চাঁদার পরিমাণের সাথে চাঁদার পরিমাণ গুন করে চাঁদা প্রদান করতে হবে।
আপনি যদি প্রতিমাসে ৩০০০ টাকা করে দেন সেক্ষেত্রে ত্রৈমাসিক চাঁদা প্রদান করতে চাইলে আপনাকে ৯০০০ টাকা দিয়ে আবেদন ফরম কনফার্ম করতে হবে।
৫। পেনশনারের ব্যাংক একাউন্ট নম্বর
অনলাইনের মাধ্যমে UPENSION GOV BD Online Apply করার এই ধাপে পেনশনারকে তার ব্যাংক একাউন্ট সম্পূর্ণ ডিটেলস প্রদান করতে হবে। আপনার যদি বাংলাদেশের যেকোনো সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক থাকে, তাহলে তার একাউন্ট নম্বর এখানে প্রদান করতে পারবেন।
আমার মতে আপনার যদি সোনালী ব্যাংকের একাউন্ট নম্বর থাকে, তাহলে আপনার অনেক সুবিধা। কেননা, সোনালী ব্যাংক বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক।
পেনশনার একাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনাকে ব্যাংক হিসাবের নাম, ব্যাংক একাউন্ট নম্বর, হিসাবের ধরণ, ব্যাংকের রাউটিং নম্বর, ব্যাংকের নাম এবং ব্যাংকের শাখার নাম উল্লেখ্য করতে হবে।
আপনি যখন সঠিকভাবে আপনার ব্যাংকের ডিটেইলস সঠিকভাবে পূরণ করেন, তাহলে আপনি পরবর্তী ধাপে যেতে পারবেন। অন্যথায়, আপনাকে পুনরায় সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
৬। পেনশনারের নমিনির তথ্য প্রদান
অনলাইনের মাধ্যমে UPENSION GOV BD Online Apply করার নিয়ম অনুযায়ী একজন পেনশনার ইচ্ছে করলেই অনেকজনকে নমিনি হিসেবে রাখতে পারবেন। পেনশনারের নমিনির তথ্য প্রদানের এই ধাপে পেনশনারকে তার নমিনির প্রাপ্ত অংশ, একের অধিক নমিনি প্রদান করতে পারবেন।
নমিনির তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে অবশ্যই তাকে বাংলাদেশের একজন নাগরিক হতে হবে। যদি নমিনি বাংলাদেশের নাগরিক না হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তিকে নমিনি হিসেবে রাখা যাবেনা।
একজন নমিনি যুক্ত করার পর আপনি চাইলে পরবর্তীতে তাকে নমিনি থেকে রিমুভ করতে পারবেন। আর আপনি যদি একের অধিক নমিনি যুক্ত করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে নমিনি যুক্ত করুন” বাটনে ক্লিক করে নমিনির সকল তথ্য দিয়ে সকল তথ্য লোড হয়ে যাবে।
৭। আবেদন ফরম জমা প্রদান
অনলাইনের মাধ্যমে UPENSION GOV BD Online Apply করার এই ধাপে আপনাকে এই পর্যন্ত যতগুলো তথ্য প্রদান করেছেন, সকল তথ্য এই ধাপে দেখতে পাবেন। এই ধাপে আপনার দেওয়া তথ্য ভুল হলে সেগুলো চেক করতে পারবেন। যদি ভুল সেগুলো ঠিক করতে পারবেন।
যদি আপনার সকল তথ্য ঠিক থাকে তাহলে আপনাকে সকল শর্ত মেনে নিয়ে শেষে আবেদন ফরকে সাবমিট করতে হবে।
৮। একাউন্ট তৈরির কনফার্মেশন এবং চাঁদা পরিশোধ
আবেদন ফরম সঠিকভাবে পূরণ করার পরে জমাদান সম্পন্ন হলে আপনাকে একাউন্ট করফার্মেশন এবং চাঁদা প্রদানের জন্য ধাপে নিয়ে যাবে। এই ধাপে আপনি যে স্কিম পছন্দ করেছে, সেই স্কিমের একাউন্টের ধরণ কি মাসিক, নাকি ত্রৈমাসিক নাকি আবার বার্ষিক সেই অনুযায়ী আপনার চাঁদার পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।
আপনি বিভিন্নভাবে চাঁদা প্রদান করতে পারবেন। আপনি যদি একজন প্রবাসী হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনি ক্রেডিট কার্ড বা ভিসার কার্ডের মাধ্যমে চাঁদা প্রদান করতে পারবেন।
দেশের অভ্যন্তরে সকল পেনশনার চাইলে ব্যাংকের মাধ্যমে, মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে চাঁদা প্রদান করতে পারবেন। যখন আপনি চাঁদা পরিশোধ করার জন্য অপশন সিলেক্ট করবেন তখন বিভিন্ন প্রকারের পেমেন্ট মাধ্যম আসবে। আপনি আপনার পেমেন্ট মাধ্যমটি সিলেক্ট করবেন।
আপনার পেমেন্টের কাজটি সম্পন্ন হয়ে গেলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে। আপনার মোবাইল ও ইমেইলে আপনার ইউজার আইডি দেওয়া হবে। এই পেজে আপনাকে আপনার প্রোফাইলে একটি পাসওয়ার্ড দিতে বলবে।
আপনার প্রোফাইলে ইউজার তৈরি করার পর আপনি যখন পেনশনার প্রোফাইলে লগইন করতে চাইবেন, তখন উক্ত পাসওয়ার্ড এবং ইউজার আইডি দিয়ে লগইন করতে হবে।
এভাবেই আপনি অনলাইনে সর্বজনীন পেনশন রেজিষ্ট্রেশন | UPENSION GOV BD Online Apply প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ সোনালী ব্যাংক ই ওয়ালেট, কিভাবে ব্যবহার করবেন | Sonali Bank E Wallet App
শেষকথাঃ
আশাকরি আজকের লেখার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন UPENSION GOV BD কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। আপনাদের আর কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর FAQs:
পেনশন স্কিমে মুনাফাসহ বছর শেষে কত টাকা জমা হলো চাঁদাদাতা কিভাবে জানতে পারবে?
চাঁদাদাতা তার পেনশন আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে UPENSION GOV BD ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে বছর শেষে মুনাফাসহ জমাকৃত টাকার পরিমাণ জানতে পারবেন।
চাকরি পরিবর্তন করলে নতুন পেনশন নম্বর গ্রহন করতে হবে কিনা?
চাকরি পরিবর্তন করলে নতুন পেনশন নম্বর গ্রহন করতে হবে না। আপনাকে শুধু জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে অবগত রাখতে হবে।
চাঁদাদাতার বয়স ৬০ হওয়ার পর তিনি কিভাবে পেনশন পাবেন?
চাঁদাদাতার বয়স যখন ৬০ বছর হবে তখন তার ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে অথবা মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে মাসিক পেনশন প্রদান করা হবে।
পেনশন সুবিধা পাওয়ার শর্তাবলী কী কী?
নির্দিষ্ট সময় ধরে নিয়মিত কিস্তি প্রদানের পর, একজন নাগরিক পেনশন সুবিধা পেতে শুরু করবেন। সাধারণত একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর (যেমন ৬০ বছর) পেনশন সুবিধা কার্যকর হবে।